চুনতির বনে যন্ত্রণা ও অবহেলা সঙ্গে নিয়ে মারা গেল হাতিটি

কাদামাটিতে আটকেপড়া সেই বন্যহাতিটি আর্তচিৎকার করতে করতে শেষপর্যন্ত মারাই গেল। হাতিটি আগে থেকেই ‘গ্যাংগ্রিন’ (পচনশীল ঘা) রোগে ভুগছিল।

রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের নারিশ্চা গ্রামের চাকমার জোন এলাকায় কাদামাটিতে আটকাপড়া বন্যহাতিটির মৃত্যু ঘটে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন পদুয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের আওতাধীন ডলু বনবিট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় লোহাগাড়ার চুনতির চাকমার জোন এলাকায় কাদামাটিতে আটকে পড়ে বন্যহাতিটি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‌হাতিটি ইতোপূর্বে বাচ্চা প্রসব করে। এতে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। খাদ্যের সন্ধানে বনাঞ্চলের পাশে এসে একপর্যায়ে কাদামাটিতে আটকা পড়ে। হাতিটি কাদামাটি থেকে আত্মরক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে। মাঝে মাঝে চিৎকার দিচ্ছিল। লোকজন হাতিটি উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

পদুয়া ফরেষ্ট রেঞ্জের আওতাধীন ডলু বনবিট কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, ৯ নভেম্বর বিকেল তিনটায় কাদায় আটকা পড়া বন্যহাতিটি উদ্ধার করে শুকনা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ধোয়া-মোছা শেষে চকরিয়া উপজেলার দুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতিটি মারা যায়।

তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত শেষে একইদিন বেলা সাড়ে ৩টায় হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। হাতিটি উদ্ধার তৎপরতা ও চিকিৎসাসেবায় কোন ত্রুটি ছিল না বলে ওই বন কর্মকর্তা দাবি করেছেন।

এদিকে পুটিবিলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আ স ম দিদারুল আলম ও স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ তপছির উদ্দিন জানান, ডলু বনবিট অফিসের কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে বন্যহাতিটির মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার কাদামাটিতে আটকা পড়ে এক বন্যহাতি। পরদিন ৯ নভেম্বর শনিবার হাতিটি উদ্ধার করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!