প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহীদুল ইসলাম এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমানের এক সাক্ষাতে মিলিত হন।
আজ শুক্রবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এ উপলক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুল হক শাহ, এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), সরওয়ার হাসান জামিল, অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ জাহেদুল হক, মোঃ আরিফ ইফতেখারসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য, চট্টগ্রামস্থ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শহীদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন-বাংলাদেশের জন্য অমিত সম্ভাবনার দেশ হচ্ছে মালয়েশিয়া। তিনি অর্থনৈতিক মুক্তিকে গণতন্ত্র মুক্তির নির্যাস উল্লেখ করে বলেন-ব্যবসায়ী এবং রাজস্ব কর্মকর্তারাই এই অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্র তৈরী করেন। তিনি চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবসায়িক কেন্দ্রবিন্দু মন্তব্য করে মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের এতদঞ্চলে বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক অর্জন, অগ্রগতি এবং ইমেজ মালয়েশিয়াতে তুলে ধরতে এপ্রিল’১৭ “ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ” নামে ২ (দুই) দিনব্যাপী “ঝযড়পিধংব” অনুষ্ঠান আয়োজনের তথ্য তুলে ধরেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান “স্বাবলম্বি^ হবো, রাজস্ব দিবো”-এই দার্শনিক ভিত্তি তৈরী করার জন্য অত্র চেম্বারের কাছে ঋণী উল্লেখ করে বলেন-রাজস্ব বোর্ড এবং চিটাগাং চেম্বার ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি একটি ব্যবসা, বিনিয়োগ ও জনবান্ধব পরিবেশ তৈরীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম ব্যবসায়ীদের সেবার মান বাড়ানোর জন্য জনবল ঘাটতি পূরণে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করার কথা জানিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত স্কেনিং মেশিন সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন-মালয়েশিয়া হতে পারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য বিশাল বাজার। তিনি বিশাল এই শ্রম বাজার যাতে নষ্ট না হয় এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। চেম্বার সভাপতি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূতের বলিষ্ঠ ভূমিকাও প্রত্যাশা করেন।
মাহবুবুল আলম দেশে প্রস্তাবিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রাম মিরসরাই ও আনোয়ারায় মালয়েশীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করণে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন। রাজস্বকে জাতীয় প্রাণ উল্লেখ করে কর প্রদানে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে এ পদ্ধতি অধিকতর সহজীকরণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ব্যবসায়ীসমাজসহ সকলকে নিয়মিত কর প্রদান করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, দারিদ্রমুক্ত উন্নত রাষ্ট্র গঠনের উদাত্ত আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ ও এ. কে. এম. আক্তার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::