চিকিৎসা টিমসহ কক্সবাজারে সেনা টহল

করোনা থেকে বাঁচতে মানুষকে সামাজিকভাবে সচেতন করতে পর্যটন জেলা কক্সবাজারে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। জেলার ৫টি উপজেলা, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা, বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৮টি উপজেলায় বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে একযোগে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের চিকিৎসাদলসহ সেনাসদস্যরা।

সেনাবাহিনীর একাধিক গাড়ি জেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই টহল দিতে দেখা গেছে।
বুধবার সকাল থেকেই সেনাবাহিনী টহল কার্যক্রম শুরু হয়। কোন জায়গায় বেশি লোকজন যেন সমবেত হতে না পারে, সবাই যেন নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে এবং যথাযথভাবে সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে চলে সেনাবাহিনী এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাও করবে সেনাবাহিনী। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক নতুন চেকপোষ্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রমের পরিধিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বহিরাগতদের চলাচল।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকেই সাধারণ মানুষের বাহিরে আসার প্রবণতা কমে এসেছে। এসময় রাস্তাঘাটে কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিস্তি দেখা যায়। অনেক এলাকা হয়ে পড়ে প্রায় জনমানবশূন্য। এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনীর কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয় ও স্থানসমূহ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!