‘রোগী জিম্মি’ হল না এবার, চট্টগ্রামে টেলিমেডিসিন বন্ধ থেকে পিছু হটলো বিএমএ

খুলনায় এক চিকিৎসক নিহত হওয়ার পর এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের এক চিকিৎসক নেতা টেলিমিডিসিন সেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েই আবার পিছু হটলেন। মূলত সাধারণ চিকিৎসকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়েই তড়িঘড়ি আবার সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানালো চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখা। চিকিৎসকদেরই অনেকেই একে সাধারণ রোগীদের জিম্মি করে ‘নিম্নমানের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা’ করা হয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী হঠাৎ করেই সাধারণ রোগীদের জন্য চট্টগ্রামে টেলিমেডিসিন বন্ধের ঘোষণা দেন। কিন্তু তিনি স্পষ্ট করেননি, বিএমএ কোথায়-কিভাবে-মোট কয়জন চিকিৎসকের মাধ্যমে চট্টগ্রামের সাধারণ রোগীদের টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে আসছে? এ পর্যন্ত সাধারণ রোগীদের কেউ আদৌ এ ধরনের টেলিমেডিসিন সেবা পেয়েছে কিনা তারও উল্লেখ নেই। তবে ব্যক্তিগত ও সামাজিক বিভিন্ন উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগরী ছাড়াও উপজেলাগুলোতে টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর সঙ্গে বিএমএর সম্পর্ক আছে বলেও জানা যায়নি।

এদিকে সকালে দেওয়া ওই ঘোষণা নিয়ে চিকিৎসকদের মাঝেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে রাতেই আবার সেই সিদ্ধান্ত ‘বাতিল’ বলে ঘোষণা দেন ডা. ফয়সাল ইকবাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই বিএমএ নেতা টেলিমেডিসিন সেবা ‘বন্ধের ঘোষণা’ থেকে ‘সরে আসার’ সিদ্ধান্ত জানান। সাধারণ চিকিৎসকদের অনেকেও করোনায় উদ্ভুত এমন পরিস্থিতিতে বিএমএর হঠাৎ এই সিদ্ধান্তকে ‘নিম্নমানের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের চেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।

তবে এ বিষয়ে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘লকডাউনের শুরুতে বিএমএ গত ২৫ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছিল। ডা. রকিব হত্যার প্রতীকী প্রতিবাদ স্বরূপ বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার অধিকাংশ চিকিৎসক টেলিমেডিসিন সেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। তাই সকালে টেলিমেডিসিন সেবা বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেহেতু হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে, তাই বিএমএ চট্টগ্রাম শাখা টেলিমেডিসিন সেবা বন্ধের ঘোষণা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে।’

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!