চিকিৎসার সময় অশালীন ছবি তুলে মার খেলেন পল্লী ডাক্তার

চিকিৎসার সময় অশ্লীল ছবি তুলে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক পল্লী চিকিৎসককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজারে প্রকাশ্যে গণধোলাই খেয়ে রক্তাক্ত হন মিজবাহ উদ্দিন (৩০) নামের ওই পল্লী চিকিৎসক। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ডাক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় দিয়েছেন।

পরে পল্লী দন্ত চিকিৎসক আহত মো. মিজবাহ উদ্দিনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছেন ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম। কোনো ডিগ্রি ছাড়াই চিকিৎসক সেজে বসা মিজবাহ উদ্দিন চকরিয়া উপজেলার শাহপীর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের জনৈক লোকমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় দন্ত চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন।

ঘটনাস্থল ঘুরে পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, অবিবাহিত পল্লী দন্ত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুঁইছড়ি প্রেমবাজারে তার ডেন্টাল ক্লিনিকে সম্প্রতি এক স্নাতক পাশ ছাত্রী দাঁতের চিকিৎসা করাতে যান। চিকিৎসা করার ফাঁকে কৌশলে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি উঠিয়ে নেন ওই চিকিৎসক।

পরে স্থানীয় এক কোচিং সেন্টারে আসা-যাওয়ার পথে পল্লী চিকিৎসক মিজবাহ নানাভাবে ওই ছবি ছাত্রীটিকে দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মাকে বললে পাড়ার লোকজন সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুঁইছড়ি প্রেমবাজার এসে মিজবাহ পরিচালিত মামণি ডেন্টাল ক্লিনিকে বিষয়টি জানতে চায়। ওইসময় পল্লী দন্ত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দিন ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজনের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। এর একপর্যায়ে মিজবাহ উদ্দিনকে বেধড়ক পেটায় ক্ষুব্ধ মানুষজন।

সোমবার বিকালে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত পল্লী দন্ত চিকিৎসক মেজবাহ উদ্দিনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন সবকিছু বলতে পারবো না। পরে বলবো।

বাঁশখালী থানার এসআই মো. মাসুদ বলেন, পল্লী চিকিৎসক মিজবাহ উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করেছি। পরে ঘটনাটি নারী সংক্রান্ত জানতে পেরে তাকে ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলামের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ওই ছাত্রীর পক্ষের কারও অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আহত দন্ত চিকিৎসককে জিম্মায় নেওয়া ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, আপত্তিকর ছবি ওই ছাত্রীর অমতে তুলেছে কিনা, নাকি প্রেমঘটিত ব্যাপার কিছুই জানি না। মারধরের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে জানাজানি হয়েছে। দুই পক্ষের পরিবার, ওই ছাত্রী এবং পল্লী চিকিৎসকের সাথে বৈঠক করে ঘটনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!