চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা, সবজির বাজার লাগামহীন

কাঁচামরিচের বাড়তি দাম এখনও পড়েনি। চট্টগ্রাম নগরের বাজারে এ সপ্তাহে আবার দাম বাড়ল চাল ও সবজির। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় মানভেদে সবজির কেজিতে ১০ টাকা করে ও চালের দাম বেড়েছে ৩-৫ টাকা। আগাম বাজারে আসা শীতকালীন সবজির দাম অনেকটাই আকাশছোঁয়া। বেড়েছে আলু ও দেশি বেগুনের দামও। পেঁয়াজের দাম পড়লেও ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে।

চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা। ফলে প্রতি বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বাড়তি গুণতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম স্থির রয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। আবার নতুন সবজি যেমন বাঁধাকপি, শিম, বেগুন, শশার দামও বেড়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের রিয়াজুউদ্দিন বাজার ও ষোলশহর কর্ণফুলী মার্কেটের কাঁচাবাজারসহ নগরের অন্যান্য বাজারের খোঁজখবর নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কর্ণফুলী মার্কেটে ছোট বেগুন ৯০ টাকা, শিম ৯০ টাকা, বড় বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি। এসব কাচা সবজি এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা কমে। এছাড়া কাকরল ৫০ টাকা, তিতা করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ওল কচু, ঝিঙ্গা, ধুন্দল, পেঁপে, শসা, চিচিঙ্গা, পটল, মুলা, নেম আলু, চাল কুমড়া, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেচাকেনা হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকায়।

কর্ণফুলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বাজারের সব ধরনের শাক পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে নতুন সবজি এসেছে দেশি বেগুন, মুলা, পটল, শিম, ওল কচু, ছোট কচু। এগুলোর দাম একটু বেশি। নতুন সবজির মধ্যে ছোট আকারের বাঁধাকপিও ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

একই বাজারের অপর সবজি বিক্রেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা। ছোট কচু ৫০ টাকা, ওল কচু ৫৫ টাকা। এছাড়া কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় কেজিতে মান ভেদে ১০ টাকা বেড়েছে।’

শুক্রবার বিকেলে কর্ণফুলী কাঁচাবাজারে গৃহিণী বিউটি আক্তার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ আগে যে সবজি ৫০ টাকায় কিনেছি আজ দেখছি সেটি ৬০ টাকা। আলু কিনেছি ৪০ টাকা কেজিতে। অথচ আলু এক সপ্তাহ আগে ৩০ টাকায় কিনেছিলাম। বাজার ঘুরে দেখা গেল, পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ৮০ টাকা, আদার কেজি ১০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ টাকা, ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১০৫ টাকা দামে।’

খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জের আড়তদার সোলাইমান বাদসা বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেয়াজের দাম আরও কিছুটা কমেছে। কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা কমেছে। এদিকে, কর্ণফুলী বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরা দোকানগুলোতেও একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ’

সপ্তাহ অন্তর বাজারে আরও দাম বেড়েছে চালের। কেজিতে চালের দাম ২-৩ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতারা দাবি করেন। আর বস্তায় চালের দাম বেড়েছে ১৫০-২০০ টাকা। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫-৫৮ টাকা, আটাশ ৪৮- ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ -৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৭৫০-২৮০০ টাকা, আটাশ ২৪০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৩০০-৩০০০ টাকা।

এছাড়াও কর্ণফুলী বাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২২০ টাকা, সাদা কক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!