চারদিন পর চট্টগ্রামে শনাক্ত হাজারের নিচে, মৃত্যুও নেই

পর পর টানা চার দিন চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ছিল হাজারের ওপরে। অবশেষে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে কিছুটা হলেও ‘সুখবর’ দিয়েছে করোনা। মৃত্যুশূন্য দিনে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮০৯ জন। শনাক্তদের মধ্যে ৫৬১ জন নগরের এবং ২৪৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১২ জনে। তাদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৮৬ হাজার ৮৫ জন। বাকিরা বিভিন্ন উপজেলার। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৩৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩০ জন নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬২৪ জনের।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ২ হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮০৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৩ জন, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৮৭ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৯৮ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি ল্যাবে ৮০ জন, শেভরন হাসপাতাল ল্যাবে ১২৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৭৬ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৩৫ জন, ইপিক হেলথকেয়ার ল্যাবে ১০২ জন, ল্যাবএইড হাসপাতাল ল্যাবে একজন, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ২৮ জন, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭ জন এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের সাতজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

উপজেলায় শনাক্ত ২৪৮ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে সর্বাধিক ৪৭ জন রয়েছেন। এছাড়া, ফটিকছড়িতে ৪২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২৯ জন, রাউজানে ২২ জন, চন্দনাইশে ১৬ জন, বাঁশখালীতে ১৪ জন, সাতকানিয়া ও পটিয়ায় ১৩ জন করে, বোয়ালখালী ও আনোয়ারায় ১২ জন করে, লোহাগাড়া, সন্দ্বীপ ও মিরসরাইয়ে ৮ জন করে এবং সীতাকুণ্ডে ৪ জন শনাক্ত হয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!