চারতলা ভবন থেকে পা পিছলে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির, শোকে কাতর সহকর্মী

‘পাশাপাশি বিল্ডিংয়ে গত ৩ মাস ধরে কাজ করছি। আগে পরিচিত ছিলাম না। কিন্তু কাজ করতে এসে পরিচয় হয়। মাঝে মাঝে কথা হত। হাসিখুশি হয়ে কাজ করতেন। গল্প করতেন প্রাণ খুলে। অসাবধানতাবশত পা পিছলে মহূর্তেই বিল্ডিং থেকে পড়ে মারা গেলো লোকটি। খুব খারাপ লাগছে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলে চোখ মুছছিলেন রাজমিস্ত্রি রাজিব (৪২)। যার জন্য এ শোক তিনি রাজমিস্ত্রি দিদারুল আলম (৪৫)।

৭ মে (শুক্রবার) সকাল ৭টায় নগরীর আকবরশাহ থানাধীন উত্তর কাট্টলী এলাকায় নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের তিনতলা থেকে পড়ে এই রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়।

উত্তর কাট্টলী গার্লস স্কুলের মকবুল মাস্টারের ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুরোনো দ্বিতীয় তলা ভবনটিতে নতুন করে তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজ চলছিল। নিহত দিদারুল আলম মিরসরাই থানাধীন নিজামপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে তিনি স্ত্রী ও কন্যা নিয়ে সীতাকুণ্ডের কালু শাহ মাজার এলাকায় থাকতেন।

রাজিব দে আরও জানান, ‘তিনতলায় সিলিংয়ে সিমেন্টের বস্তা বিছিয়ে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। হঠাৎ করে পিছন থেকে পা পিছলে নীচে পড়ে যায় রাজমিস্ত্রি দিদারুল। অসতর্কভাবে নিজেকে বাঁশের সাথে বেঁধে সে ঢালাইয়ের কাজ করছিল। আর তার জন্যই এ দূর্ঘনাটি ঘটে। একজন ঠিকাদারের অধিনস্ত হয়ে এ বিল্ডিংয়ে কয়েকজন রাজমিস্ত্রি তিনতলা ও চারতলা নতুন ভবন নির্মানের কাজ করছিলেন। পরে আমিসহ কয়েকজন রাজমিস্ত্রি মিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পুলিশ পরিদর্শক শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, সকাল ৯টায় চমেক হাসপাতালে এক রাজমিস্ত্রিকে গুরুতর আহতাবস্থায় আনা হয়। তবে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!