চান্দগাঁও মসজিদে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের জীবাণুনাশক টানেল

১৫ মে, দুপুর সাড়ে ১২টা। কিছুক্ষণ আগেই হয়েছে জুমার আজান। দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদের সামনে হাজির হতে শুরু করেছে মুসল্লিরা। স্বাভাবিক সময়ে বিশাল আকৃতির ফটক খুলে দেওয়া হয় ওই মসজিদের। কিন্তু শুক্রবার পরিস্থিতি দেখা গেছে ভিন্ন। মূল ফটক ঘেঁষে থাকা ছোট গেট দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে মুসল্লিদের৷

তবে প্রত্যেক মুসল্লিকে কিছু মুহূর্তের জন্য থামতে হল মসজিদের প্রবেশমুখেই। কারণ একটি বাক্সের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে তাদের। ওই বাক্সের ভেতর স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। নিজেকে জীবাণুমুক্ত করেই কেবল তারা প্রবেশ করতে পেরেছেন জুমার নামাজ আদায় করতে।

বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের কথা। এই মসজিদে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক ট্যানেল বসানোর আয়োজন করেছে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন। চট্টগ্রামে কোনো মসজিদে মুসল্লিদের জন্য স্থাপিত এটিই প্রথম জীবাণুনাশক টানেল।

জানা গেছে, শুক্রবার এই মসজিদে জুমার নামাজের আগেই এলাকায় মাইকিং করে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যবিধি আসতে অনুরোধ জানানো হয়। সবাইকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিয়ে আসতে বলা হয় জায়নামাজ। এছাড়া মুখে মাস্ক নিশ্চিত করে আসতে বলা হয় মসজিদে। শিশুদের মসজিদে আনা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় মুসল্লিদের। যদি কোন বাড়িতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি থাকে, সে বাড়ির কাউকে মসজিদে আসা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া প্রবেশপথে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল অতিক্রম করেই প্রত্যেক মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হয়েছে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে। পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্বে দাঁড়িয়ে নিজস্ব জায়নামাজে নামাজ আদায় করতে হয়েছে মুসল্লিদের। নামাজ শেষে বের হওয়া সময়ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে। কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে মসজিদের সামনে রাখা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক। যারা স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।

চান্দগাঁও মসজিদে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের জীবাণুনাশক টানেল 1

এ প্রসঙ্গে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সুবিধার্থে এই টানেল স্থাপন করা হয়েছে মসজিদে। মসজিদে যেন মুসল্লিরা নিরাপদে নামাজ পড়ে এবং নামাজের নিরাপদে ঘরে ফিরে সে জন্য সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!