চান্দগাঁও আবাসিক মসজিদের ঈদ জামায়াতে অন্যরকম আবহ

রঙ-বেরঙের পাঞ্জাবি সবার গায়ে। মাথায় সবার টুপি। আঁতরের সুবাসে মৌ মৌ করছে চারিদিক। মুখে মুখে সবার মাস্ক। মসজিদে প্রবেশের সময় পার হতে হয়েছে সবাইকে জীবাণুনাশক টানেলের বৈতরণী। যার যার জায়নামাজ নিজেই নিয়ে এসেছেন মুসল্লিরা৷ তিন ফুট দূরত্বের নিয়ম মেনে তা বিছালেন সবাই। শুনলেন খুতবা, আদায় করলেন নামাজ।

আবার নামাজ শেষে হাত তুলে করলেন দোয়া। মসজিদের খতীবের মুখে ছিল কান্নাজড়িত কণ্ঠে করোনা মুক্তির প্রার্থনা। মুনাজাত শেষে দূরত্ব মেনেই বের হয়ে এলেন মুসল্লিরা। কোলাকুলি করেননি কেউ। হাতে মেলাননি হাতও।

বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের কথা। এ যেন এক অন্যরকম ঈদ জামায়াত। করোনা পরিস্থিতি আবেগ-অনুভূতি আর আনন্দমাখা ঈদের ঐতিহ্যের আয়োজনকেও যেন নিয়ন্ত্রিত করেছে।
চান্দগাঁও আবাসিক মসজিদের ঈদ জামায়াতে অন্যরকম আবহ 1
সোমবার (২৫ মে) এভাবেই ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হল চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ কমপ্লেক্সে।

এ প্রসঙ্গে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমতির সভাপতি ও কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ আমাদের জন্য অতীতের মত আনন্দের নয়। কারণ প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের আপনজনদের মৃত্যু সংবাদ শুনছি। এই পরিস্থিতি কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ। অনেক মধ্যবিত্তের ঘরেও চলছে আর্থিক টানাপোড়েন। তবুও আল্লাহ’র বান্দা হিসেবে ঈদের জামায়াতে শামিল হয়েছি আল্লার’র সন্তুষ্টির জন্য। আমরা আল্লাহ’র কাছে মহামারি থেকে রেহাই চেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যতটুকু সম্ভব আমরা মেনে ঈদের জামায়াতের আয়োজন করেছি।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!