চান্দগাঁওয়ে দেহব্যবসার জাল— কখনও রিগ্যাল প্যালেস, কখনও সাতকানিয়া গেস্ট

কখনও সাতকানিয়া গেস্ট হাউস, কখনও নিউ চান্দগাঁও রেস্ট হাউস, আবারও কখনও হোটেল রিগ্যাল প্যালেস— চটকদার নামের আড়ালে এইসব হোটেলের মূল ব্যবসা— দেহব্যবসা। চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ের বহদ্দারহাট এলাকায় সাইফুল ইসলাম হিরুর মালিকানাধীন হোটেলগুলো দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড।

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের গ্রিন প্লাজা শপিং সেন্টারের হোটেল রিগ্যাল প্যালেসে অভিযান চালায়। এ সময় ওই হোটেল থেকে কয়েকজন যৌনকর্মীসহ একাধিক খদ্দেরকে আটক করা হয়। পরে ওই হোটেলের দুই ম্যানেজার বিকাশ দাশ ও মো. ফোরকানকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন অনিল দাশের পুত্র বিকাশ দাশ (৩২) এবং আবদুল মাজেদের পুত্র মো. ফোরকান (৩৭)। বিকাশ দাশের বাড়ি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি দুড়ছড়িতে। ফোরকানের বাড়ি চন্দনাইশের হাশিমপুরে। গ্রেপ্তার দুজনই বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের গ্রিন প্লাজা শপিং সেন্টারের আবাসিক হোটেল রিগ্যাল প্যালেসের ম্যানেজার। তাদের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মানবপাচার আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে এই দুই ম্যানেজার জানান, হোটেল রিগ্যাল প্যালেসের মালিক সাইফুল ইসলাম হিরুর (৩৮) নির্দেশে তারা দীর্ঘদিন ধরে হোটেল ব্যবসার আড়ালে অনৈতিক দেহব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সাইফুল ইসলাম হিরু নগরীর বিভিন্ন স্থানে আবাসিক হোটেল ব্যবসার অন্তরালে পতিতালয় পরিচালনা করে আসছেন।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার মোড়ে তার মালিকানাধীন সাতকানিয়া গেস্ট হাউস ও নিউ চান্দগাঁও রেস্ট হাউস নামের দুটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পতিতালয় পরিচালনার দায়ে হোটেল মালিক সাইফুল ইসলাম হিরুর বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!