চান্দগাঁওয়ে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু, এলাকাবাসীর সন্দেহ করোনা

নিজের বাসায় গার্মেন্টসকর্মী মারা গেলেন ইফতারের পর, রাতে পুলিশ এসে সেই লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি, ওই গার্মেন্টসকর্মীর করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। কিন্তু পুলিশের দাবি, পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সেরকম উপসর্গ ওই তরুণীর মধ্যে দেখা যায়নি। এর মধ্যেই লাশ দাফনের জন্য লাশ তুলে দেওয়া হয়েছে গার্মেন্টসকর্মীর পরিবারের হাতে।

নাসরিন বেগম ১৯ বছরের ওই তরুণী চট্টগ্রামের কালুরঘাট শিল্প নগরীর রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফোর এইচ গ্রুপের একটি কারখানায় কাজ করতেন। কালুরঘাট এলাকার বরিশাল বাজারের একটি বাড়িতে স্বামী তুরফান খানসহ তিনি বসবাস করতেন। তবে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর চর জব্বার থানার চর মজিদ গ্রামে। সেখানকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে তিনি।

জানা গেছে, শনিবার (১৬ মে) ইফতারের পর হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব হলে পোশাককর্মী নাসরিন বেগম মাটিতে বসে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর ধারণা, ওই পোশাককর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

পরে এলাকাবাসী চান্দগাঁও থানার পুলিশকে খবর দেয়। রাতে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে নাসরিনের লাশটি থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী এ সময় ওই তরুণীর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের দাবি জানালেও পুলিশ তা করেনি বলে জানা গেছে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, ‘ওই তরুণী স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশের পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও তাই মনে হয়েছে। কারণ তার কোন জ্বর-সর্দি-কাশির লক্ষণ ছিল না। তাই আমরাও লাশটি পরিবারকে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু মনে হয়েছে। তাই করোনা পরীক্ষা করা হয়নি। লাশ মেয়ের বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!