চাক্তাই খালে সেনাবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতার প্রধান বাধা খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও চাক্তাই খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে এ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার (২৩ জুলাই) সকাল এগারোটার দিকে খালের বহদ্দারহাট অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। সিডিএর এ উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বিগ্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা।

এ অভিযানে যেসব জায়গায় এস্কেভেটর নিয়ে উচ্ছেদ করা যায়নি সেখানে শ্রমিক দিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভাঙা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিডিএর স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী।

প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক লে. কর্নেল আবু সাদাত মোহাম্মদ তানভীর জানান, চাক্তাই খালের দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ৮৮১ কিলোমিটার। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের ৮ দশমিক ১৩৭ একর জায়গা বেদখল রয়েছে। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ৩০০। এর মধ্যে প্রথম দিনে বহদ্দারহাট জঙ্গিশাহ মাজার এলাকায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। তিনতলা ভবন একটি, দুইতলা ভবন দুটি, একতলা ভবন একটি, ১৮ সেমিপাকা ভবন, ১৫ কাঁচা ঘর, তিনটি টয়লেট প্রথম দিনের অভিযানে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

চাক্তাই খালে সেনাবাহিনীর উচ্ছেদ অভিযান 1

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬ খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২ সিল্ট ট্র্যাপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!