চাক্তাই খালের দুর্দশা দেখে রেগে আগুন মন্ত্রী

চট্টগ্রামের দুঃখ বলে খ্যাত চাক্তাই খালের সংকীর্ণ প্রবেশ মুখ দেখে রেগে আগুন হলেন স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। গুরুত্বপূর্ণ এই খালের এমন দুর্দশা দেখে তিনি বারেবারেই প্রকাশ করলেন নিজের ক্ষোভ।

শুক্রবার (২৫) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে চাক্তাই খালের পুরনো ব্রিজ ও খালের মুখের স্যুইচ গেইট দেখতে যান।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চাক্তাই খালের মুখের সংকীর্ণতা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রশস্ততা যতটুকু বড় হওয়া উচিত তা হয়নি। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কার্যকারিতা ভেস্তে যাওয়ার আশংকা আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই খালের মুখের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কোনো ভরাট খাল পুনরুদ্ধার বা নতুন কোন খাল খনন করার প্রয়োজন হলে সক্ষমতা সাপেক্ষে সেই কাজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করতে পারে।’

মন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের গতি ও কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যে-কোন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকারভোগীদের সাময়িক ভোগান্তি হবেই। বড় কিছু প্রাপ্তির আশায় সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নিতে হয় এবং এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রকল্পের গুণগত মান রক্ষা করা এবং এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বড় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’

মেগা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ্ আলী, চসিক পানি ও বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোরশেদ আলম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

এএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!