চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত!

বেচাকেনা নেমে এসেছে ৫০০ কোটির ঘরে

কঠোর লকডাউনে মাথায় হাত পড়েছে চট্টগ্রামের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীদের। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পণ্য রয়েছে পর্যাপ্ত। কিন্তু লকডাউনের কারণে গ্রাম-উপজেলা থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা শহরে আসতে পারছে না। ফলে ক্রেতার দেখাও নেই। সবমিলিয়ে কোরবানির ঈদবাজারের এই ভরা মৌসুমে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা।

লকডাউন শুরুর আগে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় এবং পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় নিত্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।

করোনাভাইরাসে উদ্ভুত বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই খুচরা ক্রেতাদের বেশিরভাগই অতিরিক্ত নিত্যপণ্যসামগ্রী কিনে জমা রেখেছেন। তেমনি ক্রেতা সাধারণের কাছেও সংকট নেই।

তবে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে খাতুনগঞ্জ থেকে জেলা ও উপজেলায় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে কড়াকড়ি রয়েছে চট্টগ্রামে। এর ফলে নিয়মিত ক্রেতারা ঢুকতে পারেননি চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে। ফলে সপ্তাহের শেষ দিন হিসেবে অতিরিক্ত লেনদেন হওয়ার কথা থাকলেও লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, গড়ে স্বাভাবিকভাবে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে লেনদেন হয় ১৫০০ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা। সেখানে অর্থবছরের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার লেনদেনে হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রামের অন্যতম বড় পাইকারি মার্কেট খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ, আদা-রসুনভর্তি বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক। আড়তগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ। তবে বেচা-বিক্রির তেমন হাঁকডাক নেই।

আড়তদাররা বলছেন, গেল কয়েকদিনে পেঁয়াজসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য কিনেছেন ভোক্তারা। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকায় ঘাটতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তারা। দীর্ঘ ছুটির সুযোগে অসাধু কোনো ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং করারও পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।

খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী আশুতোষ মহাজন বলেন, আমদানিকারকদের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য রয়েছে। আবার ক্রেতাদের কাছেও পর্যাপ্ত নিত্যপণ্য মজুদ আছে। তাই বাজারে কোন ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। কিন্তু কোরবানিকে সামনে রেখে যে পরিমাণ ব্যবসা হতো তা থেকে বঞ্চিত হলো চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) এখানে লেনদেন হয়নি বললে চলে। যা বেচা-বিক্রি হলো তা অন্যান্য দিনের তুলনায় ৪০ শতাংশের মতো। অথাৎ অন্য দিন যেখানে ১৫০০ কোটি থেকে ২ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো, সেখানে আজ হয়েছে ৫০০ কোটি থেকে ৭০০ কোটি টাকা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!