তরুণ ফটোগ্রাফার অরজিৎ’র স্বপ্ন!!! চাকুরীর ফাঁকে ল্যান্ডস্কেপ ও ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি

রাজীব সেন প্রিন্স :::

সামিট এলাইয়েন্স পোর্ট লিমিটেড এ ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত অরজিৎ চৌধুরী পাপ্পু। চাকুরীর ফাঁকে ল্যান্ডস্কেপ ও ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে ঝোঁক অরজিতের। একসময় মোবাইলে নানান ঢং এ নিজের ছবির পাশাপাশি সমাজের ঘটে যাওয়া নানান চিত্র ও ছবির মাধ্যমে ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে চট্টগ্রামের সৌন্দর্য।

 

The Daily Star 2015_02_03

তার এমন শখকে আরো প্রস্ফুটিত করতে তার অর্ধাঙ্গিনী ও বাংলাদেশের শ্রোতাবিজয়ী কন্ঠশিল্পী শাপলা পাল তার হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন ডি.এস.এল.আর ক্যামেরা। সেই থেকে শুরু হয় ছবির পিছনের সংগ্রাম। আগ্রহ বাড়ে ক্যামেরার উপর আরো কিছু শিক্ষা গ্রহণের। “পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া অ্যাকাডেমি” থেকে ফটোগ্রাফিতে বেসিক কোর্স শেষ করে।

 

IMG_3767১

 

এর পর থেকে পুরাদমে শুরু হয় তার ছবি তোলা। মুলত পেশাই একজন চাকুরীজীবী হওয়ায় সময় নিয়ে ওইভাবে ছবি তোলা হয়ে উঠেনা। তারপর ও ছুটির দিনগুলা সে মিস করতে নারাজ। ছুটি পেলেই ক্যামেরা নিয়ে বের হয়ে পরে। ল্যান্ডস্কেপ ও ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে তার ঝোঁকটা বেশি, সাথে অন্য সবধরনের ছবি তোলার চেষ্টারও কোন কমতি নেই।

 

২০১৪ তে ডেইলি স্টার এর ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা “ইনপিক্সল” এ একটা অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর থেকে তার ছবি তোলার ঝোঁকটা মাথার মধ্যে আরও ভালো ভাবে চেপে বসলো। সেই থেকে শুরু, সদস্য হলাম চট্টগ্রাম ফটোগ্রাফিক সোসাইটির, সেখানে ৩ টা এক্সিবিশান এ অংশগ্রহন করে।

 

IMG_5166

স্বপ্ন ছিলো ঢাকার দৃক গ্যালারীতে এক্সিবিশান করা। যেই স্বপ্ন সেই কাজ। এ পর্যন্ত ৮ বার এক্সিবিশান এ অংশগ্রহন করে অরজিৎ। এছাড়াও কুমিল্লা, টাঙ্গাইল-এ ও এক্সিবিশান এ অংশগ্রহন করে সে।  দেশের বাইরে ভারতের আসাম রাজ্যের দেব্রুগর ইউনিভার্সিটি তে একটা এক্সিবিশান এ অংশগ্রহন করার সুযোগ হয়। এছাড়া ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশান হিপা, সিনা, ট্রাভেল এশিয়া তে ও অংশগ্রহন করে অরজিৎ চৌধুরী পাপ্পু।

 

গত বছর “কাউন্টার ফটো” থেকে এডভান্স কোর্সটা শেষ করে, মাঝে মাঝে সময় সুযোগ পেলে ফটোগ্রাফির উপরে বিভিন্ন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহন করে অরজিৎ।

 

তার সাথে কথা হলে প্রতিবেদককে জানায়, আমার ফটোগ্রাফির গুরুজনরা ও সবসময় আমাকে অনেক সাহায্য করে, হয়তো উনাদের সহযোগিতা না পেলে এতো দূর আস্তে পারতাম না, সবথেকে বড় সহযোগিতা পাই আমার স্ত্রী শাপলা পালের কাছ থেকে, এটা স্বীকার করতেই হবে। ও একজন সংগীত শিল্পী হওয়াতে আমার ছবি তোলার বিষয়গুলা অনেক ভালো ভাবে বুঝতে পারে, এত কিছুর মাঝে ও ছবি তোলার অনুপ্রেরনা পেয়ে থাকি। বন্ধুদের সহযোগীতা না পেলেও হয়তো এতো দুর আসা সম্ভব হতো না। এভাবে সবার ভালোবাসা পেলে হয়তো সামনে আরো অনেক ভালো কাজ করার ইচ্ছে পোষণ করে তরুণ এ ফটোগ্রাফার।

 

রিপোর্ট ::: রাজীব সেন প্রিন্স

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::…..

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!