চাকরি দেয়ার কথা বলে ধর্ষণ, পুলিশের হাতে ধরা ২ জন

চাকরি দেয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা পুলিশ রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে কর্ণফুলী থানাধীন বন্দর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের পুত্র মো. এনাম (২৫) ও লোহাগাড়া উপজেলার পূর্ব হাজারবিঘা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র শহিদুল ইসলাম (৩২)।

পুলিশ জানায়, শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় আনোয়ারা উপজেলার উত্তর বন্দর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে গ্রেপ্তারকৃতরা। ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কিশোরীর পিতা জানান, চাকরি দেওয়ার কথা বলে শনিবার সকালে এনাম তার মেয়েকে ফোন করে কেইপিজেড এলাকায় নিয়ে যায় ইন্টারভিউ আছে বলে। কেইপিজেড এলাকা থেকে ইন্টারভিউর কথা বলে বন্দরের একটি বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। সন্ধ্যায় মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খুঁজতে বের হয়ে জানতে পারি এসব ঘটনা।

রাতে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগমসহ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করি। এসময় মেয়ের স্বীকারোক্তিতে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়রা ধর্ষক এনাম ও শহীদুলকে আটক করে। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!