চাকরির প্রলোভনে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য—চক্রের হোতা ‌‘তানজিলা খালা’ ধরা

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগে তানজিনা আক্তার ওরফে তানজিলা খালা (৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪ ও ১৯ বছর বয়সী দুই ভিকটিমকে উদ্ধারসহ দুই খদ্দেরকেও আটক করা হয়।

রোববার (৩০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ ২৭ নম্বর রোডের মুখের একটি ভবন থেকে তাদের গ্রেপ্তার ও উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।

উদ্ধার হওয়া দুই ভিকটিমের বাবা জানান, তারা জানতেন মেয়েরা গার্মেন্টসে চাকুরি করছে। কিন্তু তাদের মেয়েদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাচ্ছিল এই তানজিনা খালা!

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তানজিনা আক্তার এলাকায় তানজিনা খালা নামে পরিচিত। তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের চাকুরি দেন বলে সবাই তাকে এই নামে ডাকে। কিন্তু আসলে তিনি কাউকেই চাকুরি দেন না। চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে তার বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর তাদের বিক্রি করে দেন! এজন্য তার ৭ থেকে ৮ জনের একটি চক্রও আছে। সেই চক্রে সেকান্দর মিয়া, তার দুই স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও সাথী বেগম এবং শারমিন বেগম নামে এক মহিলা আছে। মূলত সেকান্দারই ঘুরে ঘুরে এসব মেয়ে সংগ্রহ করে। এরপর চাকরির নাম দিয়ে তানজিনার বাসায় এনে বিক্রি করে দেয়।

তিনি বলেন, গত ৩ মে এই একই কায়দায় এই দুজনকে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয়! এরপর তাদেরকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। তারা রাজি না হলে কিংবা অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। কৌশলে তাদের একজন তাদের বাবাকে ফোন দেয়। পরে বাবা ৯৯৯ এ ফোন করলে ডবলমুরিং থানাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ ২৭ নম্বর রোডের মুখে ক্যাপ্টেনের বাড়ির নিচতলা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় মূলহোতা তানজিনা আক্তারসহ আরও দুই খদ্দেরকে। তবে বাকিরা এসময় পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আইএমই/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!