চাকরিচ্যুতদের ক্ষতিপূরণ চায় পাহাড়তলীর গার্মেন্টস শ্রমিকরা

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার অলংকার শপিংমলে অবস্থিত রিজি নিট ডিজাইনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবারের (১৫ অক্টোবর) মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলার নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে সংগঠনের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

জানা যায়, কর্মরত শ্রমিকদের গত ১৬ মে ১২০ দিনের নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করে রিজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘রিজি নিট ডিজাইন’ মালিকপক্ষ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ১২০ দিন অতিবাহিত হয়েছে। শ্রম আইনের ১২৩ (২) ধারা মোতাবেক ৩০ দিনের মধ্যে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধের নিয়ম থাকলেও রিজি নিট কর্তৃপক্ষ কেবল সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনের মজুরি এবং অর্জিত ছুটির টাকা প্রদান করেছে। চাকরির ক্ষতিপূরণ বা গ্র্যাচুইটির টাকা কবে দিবে তা এখনো পর্যন্ত শ্রমিকদের নিশ্চিত করছে না মালিকপক্ষ। এতে শ্রমিকদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, রিজি নিট ডিজাইন লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি সরকার কর্তৃক ঘোষিত মজুরি কাঠামো না মেনে পূর্বের নিয়মে মজুরি প্রদান করে। এতেও শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছিল।

চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের জরুরি সভায় পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শ্রমিক নেতা ফজলুল কবির মিন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি তপন দত্ত, শ্রমিক নেতা মির ইলিয়াছ, ইফতেখার কামাল খান, আব্দুল ওয়াদুদজীবন, শামসুদ্দিন সাগর, তুহিন আক্তার, প্রিয়া আক্তার ও সুমি আক্তার।

এ সময় তপন দত্ত বলেন, ‘রিজি নীটের শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতির পর ৫ মাস সময় অতিবাহিত হয়েছে এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিপ্তরে ত্রিপক্ষীয় সভায় ২ বার চুক্তি হওয়ার পর আর নতুন করে সময় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যেই চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করতে হবে। যদি কালকের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করে তাহলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মালিক পক্ষ দায়ী থাকবেন।’

সভায় নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ‘রিজি নিটে শ্রম আইনের কোনো কিছুই মানা হয় না। জন্মলগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠানে অর্জিত ছুটির হিসাব রাখা হতো না এবং কোনো টাকা নগদায়ন করা হতো না। ফলে শ্রমিকেরা অর্জিত ছুটি ভোগ এবং নগদায়ন করতে পারেনি। শ্রমিকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে এবং প্রশাসনের চাপে বিগত বছর মালিকপক্ষ অর্জিত টাকা নগদায়ন করতে বাধ্য হয়।’

শ্রমিক নেতা ফজলুল কবির মিন্টু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যে সব শ্রমিক এক বছর চাকরি করেছে তারা এক মাসের মূল বেতন এবং যারা দুই বছর চাকরি করেছে তারা দুই মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ পাবেন।’

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক ছোটন কুমার দাশের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।

এমএ/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!