চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে পেটালেন বিএনপি নেতা

চাঁদা না পেয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে পেটালেন বিএনপি নেতা 1প্রতিদিন ডেস্ক : চাঁদা না দেওয়ায় মাদরাসা ভাংচুর ও অধ্যক্ষকে পিটিয়ে আহত করেছেন জামালপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জুনায়েদ। রোবাবার সকালে সদর উপজেলার শরিফপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অফিস রুমে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও ভাংচুর করে অভিযুক্তরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শরিফপুর আলিম মাদরাসার ৪ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব জুনায়েদের নেতৃত্বে ওয়াজেদ মিয়া, শামিমসহ একদল সন্ত্রাসী মাদরাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন।

চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়ার সময় রোববার সকালে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জুনায়েদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এ সময় অধ্যক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় বিএনপি নেতা জুনায়েদের। পরে জুনায়েদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতভাবে মাদরাসায় হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর ও অফিসের ফাইল তছনছ করে। বাধা দিতে গেলে অধ্যক্ষকে বাঁশের লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

অধ্যক্ষকে বাঁচাতে গিয়ে শরিফপুর বাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি বৃদ্ধ নুরুল হক মজনুও গুরুতর আহত হন। আহত দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আহত অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক জানান, দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় সদলবলে মাদরাসায় হামলা চালিয়েছে বিএনপি নেতা। শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল আলম জানান, শরিফপুর আলিম মাদরাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখেছি অফিস কক্ষ ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জুনায়েদ জানান, সকালে অধ্যক্ষ মাদরাসায় যাওয়ার শামিমের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে শামিম অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।

জামালপুর সদর থানার ওসি নাসিমুল ইসলাম জানান, মাদরাসায় ভাংচুরের ঘটনা জেনে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!