চাঁদা না দেওয়ায় খুন হন অটোরিকশা চালক একরাম

কথিত সমিতিকে চাঁদা না দেওয়ায় খুন হন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের অটোরিকশা চালক মো. একরাম হোসেন (২০)। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ তেলী বাজার মৃত আজগর আলীর ছেলে মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সাকিব (২০), উত্তর মাহমুদাবাদ সমজি মোল্লাবাড়ি মোহাম্মদ রহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ওরফে রানা (২৪), সীতাকুণ্ড পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাজুল ইসলামের ছেলে জাহেদ হোসেন (২০) ও অটোরিকশা চালকদের কথিত সংগঠন ‘সীতাকুণ্ড সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, মধ্যম মহাদেবপুর গ্রামের মোহাম্মদ জাফরের ছেলে নূর আহাম্মদ (৪০)।

এ ঘটনায় পুলিশের পাশপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করে তারা। এরপর তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ২৮ জানুয়ারি (শনিবার) সকালে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে হত্যার ঘটনা বর্ণনা দেন খুনিরা। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বর্ণনা দেয় পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে অপর একটি অটোরিকশায় আসা একদল দুর্বৃত্তরা। পরে গতিরোধ করে তারা অটোরিকশা চালক একরামকে ছুরিকাঘাত করে।’

তিনি বলেন, ‘আসামি নূর আহমদ ও জাহেদ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানায়, ঘটনার দিন সিএনজিচালক একরামকে তারা (আসামিরা) জানিয়েছিল, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড রুটে সিএনজি চালাতে হলে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সমিতিতে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু একরাম কোনো চাঁদা দেবে না বলে জানায়। এর জের ধরে ক্ষোভে সমিতির কথিত সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আহাম্মদের নেতৃত্বে চারজন মিলে একরামকে হত্যা করে। ঘটনাস্থলের পাশে পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।’

নাজমুল হাসান বলেন, ‘একরাম হত্যার ঘটনায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করে তার ভাই নুরুল হুদা। এরপর পুলিশের পাশাপাশি পিবিআইয়ের এসআই মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনও তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জানুয়ারি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠালে তা মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন আসামিরা। এরপর তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হত্যার বর্ণনা দেয় তারা।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!