চসিক ‘প্রশাসক’ সুজনের দরদে— দামি জায়গা ভাড়ায় পেল ১ টাকা ৬৫ পয়সায়

এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) বাণিজ্যিক জায়গা প্রতি বর্গফুট মাত্র ১ টাকা ৬৫ পয়সা দরে ভাড়ায় পেয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

মাত্র ৬ মাস মেয়াদে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক থাকাকালীন খোরশেদ আলম সুজন এই জায়গাটিও বরাদ্দ দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

চসিক প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে খোরশেদ আলম সুজন কম দামে বাণিজ্যিক জায়গা ভাড়া দেওয়ার একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। এনিয়ে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর রেজাউল করিম চৌধুরী জায়গা বরাদ্দের অনিয়মের বিষয় খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

খোরশেদ আলম সুজনের অনিয়ম খুঁজতে ইতিমধ্যে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চসিক।

চসিক সূত্রে জানা যায়, নগরের সাগরিকা রোডের উত্তর পাশে ফুটপাত সংলগ্ন ৫০৫৫ বর্গফুটের একটি খালি জায়গা দেওয়া হয়েছে সাগরিকা নার্সারির মালিক মো. বাদশা নামের এক ব্যবসায়ীকে। জায়গাটি প্রতি বর্গফুট প্রতিমাসে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ১ টাকা ৬৫ পয়সা। ওই হিসেবে ৫ হাজার ৫৫ বর্গফুট জায়গায় প্রতি বছরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। এক বছর ভাড়ার ১ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে অগ্রিম পরিশোধও করা হয়।

নগরীর সাগরিকা রোডের ৭ কাঠা আয়তনের জায়গাটির বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত ৪ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। ৪ কোটি টাকা মূল্যের জায়গাটি প্রতিমাসে মাত্র ৮ হাজার ৩৩ টাকায় ভাড়ায় দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন চসিকের সাবেক এই প্রশাসক।

অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যে করতে রাজি হননি। ওনাকে কল করে বক্তব্যের জন্য বিরক্ত না করতে প্রতিবেদককে পরামর্শ দেন তিনি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হককে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন খোরশেদ আলম সুজন। ১৮০ দিন দায়িত্ব পালন শেষে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি কর্পোরেশন থেকে বিদায় নেন তিনি।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!