‘চরম ভোগান্তি’র নাম কেরানিহাট হাঙ্গরমুখ সড়ক

সাতকানিয়ার কেরানিহাট-হাঙ্গরমুখ সড়কটির তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিটুমিন উঠে গিয়ে যান ও জন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বছরের পর বছর খানাখন্দের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।

জানা যায়, কেরানিহাট-হাঙ্গরমুখ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কটি ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা ও নলুয়া ইউনিয়নের আওতাধীন হওয়ায় সংস্কার কাজে কোন অগ্রগতি নেই বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

কেরানিহাট-হাঙ্গরমুখ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কেরানিহাট ঢেমশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢেমশা উচ্চ বিদ্যালয়, আলহাজ সুফিয়া মমতাজুল উচ্চ বিদ্যালয়, নুরানী মাদ্রাসাসহ আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়া চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। এছাড়া এ সড়কের ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় বাসিন্দা ডা. শ্যামল দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই এ সড়কে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। কেরানিহাট থেকে সিএনজি অটোরিকশা কিংবা রিক্সাচালকরা কেউ এ সড়কে যাত্রী নিতে আগ্রহী না। এতে দ্বিগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের এবং প্রতিদিনই চলছে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য।

স্থানীয়রা জানান, কেরানিহাট-হাঙ্গরমুখ সড়কটি সংস্কার কাজ করে জিলানি গ্রুপ নামে প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংস্কার নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারসহ নানা অসংগতির কারণে কাজ শেষ করার দুই মাসের মাথায় রাস্তার ভাঙ্গন দেখা দেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাত্তিকের দোকান থেকে লোকনাথ মন্দিরের অংশটি পুরোই চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পিচঢালা সড়কের দৈঘ্যর অর্ধেকই বিটুমিন উঠে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সড়কের পশ্চিমে বৈদ্য বাড়ি সংলগ্ন অংশটির অবস্থা আরও বেহাল।

এ বিষয়ে নলুয়া ইউনিয়নের তছলিমা আক্তার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সড়কটিতে চলাচলরত মানুষের দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ অবগত আছেন। তিনি বিষয়টি দেখভাল করছেন। আশাকরি শীঘ্রই সংস্কার কাজ শুরু হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!