চমেক হাসপাতালে দুদকের অভিযানে হাতেনাতে ধরা ওয়ার্ডবয়

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালকে রীতিমতো কসাইখানা বানিয়ে রেখেছে কতিপয় কর্মচারী। টাকা ছাড়া দেখা মেলে না কাঙ্খিত সেবার। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই রোগীর স্বজনরা টাকার বিনিময়ে সেবা নেন। আবার টাকা দেওয়ার পরেও হয়রানির শিকার হতে হয় অনেককে। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের আনসার সদস্য, ওয়ার্ড বয় ও আয়া— টাকা আদায়ে পিছিয়ে নেই কেউই। এদের ঘুষবাণিজ্যে অতিষ্ট রোগী ও তাদের স্বজনরা।

এসব নিয়ে দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) হটলাইন ১০৬ নম্বরে অভিযোগ জানাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে হঠাৎ অভিযান চালালো দুদক। চিকিৎসাসেবায় অবহেলা এবং রোগীদের হয়রানির অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন নম্বরে অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের (চট্টগ্রাম-১) সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের প্রসঙ্গে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ১০৬ এ অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়। বাকিটা প্রতিবেদন এলে জানা যাবে।

জানা যায়, দুদকের এই অভিযানে এক ওয়ার্ড বয়কে টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এছাড়া এক্স-রে, এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করার জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় বলেও রোগীরা সরাসরি অভিযোগ জানায় দুদক টিমের কাছে।

তবে এ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!