চমেকে দালালদের রক্ষায় মরিয়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারিরা

গোয়েন্দা সংস্থার অভিযান

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ২ কর্মচারীসহ ১ দালালকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।

সোমবার (৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালের ১৫ নম্বর রেডিওলজি ওয়ার্ড থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ৩ জন হলেন- চমেক হাসপাতালের অফিস সহকারী মহিউদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মী রোকসানা ও দালাল মো. ফারুক।

জানা যায়, মহিউদ্দিন হাসপাতালে চাকরি করলেও সে মূলত ওয়ার্ডে দালালি করেই সময় কাটাত। মেডিসিন ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নকর্মী রোকসানা ছিল তার সব অপকর্মের সহযোগী। রোকসানা আর মহিউদ্দিন মিলে রোগিদের নিয়ে যেত রেডিওলজি বিভাগে। সেখানেই রোগিদের পকেট কাটত নানা অজুহাতে। আর ফারুক বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রোগিদের বিভিন্ন ল্যাবে নিয়ে যেত পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার জন্য। রোগি ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে এনএসআই এর একটি টিম বিভিন্ন ওয়ার্ডে গোপন নজরদারী চালায়। পরে অভিযুক্ত তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে।

তাদের প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক হুমায়ুন কবিরের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় উপপরিচালকের রুমে। সেখানে তাদের বাঁচাতে সারাদিন দেন দরবার করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে শেষ রক্ষা হয়নি। ফারুককে হস্তান্তর করা হয় পাঁচলাইশ থানায়।

তবে রোকসানা ও মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মঙ্গলবার তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান উপ-পরিচালক আফতাবুল ইসলাম।

আফতাবুল ইসলাম বলেন, ‘তারা হাসপাতালের স্টাফ। হাসপাতালে লোকবলও কম। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই সাথে সাথে অ্যাকশন নেয়া সম্ভব না। আগামীকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!