চমেকে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা—গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তৌফিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত রক্তিম দে (২১) ও সীমান্ত (২১) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তৌফিকুর রহমান মামলাটি করেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল উদ্দিন।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় তৌফিকুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মামলার আসামিরা হলেন, সাদ মো. গালিব, আহসানুল কবির রুমন, জাহিদুল ইসলাম জিসান, মাহাবি বিন হাসিম, আসিফ বিন তাকি, ইমতিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন রাফি, জাহিদুল আলম জিসান, সৌরভ ব্যাপারী, মো. আনিস, রক্তিম দে, আহসাব উদ্দিন, তানভীর ইসলাম, নাজমুস সাদাত আসিফ, এনামুল হাসান সীমান্ত, রিজওয়ান আহমেদ।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দফায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ওই হামলায় দুজন ছাত্রলীগ নেতা আহত হন। তারা হলেন চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক (২৩) এবং ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০)। রাতের ঘটনায় আহত দুজনই আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।

রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের একজন আকিব হোসেনকে (২০) একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

এর পরপরই শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা।

পরে এই হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য চমেক বন্ধ ঘোষণা করে কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। সন্ধ্যার মধ্যেই সকল শিক্ষার্থীকে হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!