চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় সাকিব হাসান নয়ন (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত নয়ন বোয়ালখালী থানার খরনদীপ এলাকার মো.পারভেজের ছেলে। রবিবার (২১ জুলাই) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নয়নকে তার পরিবার সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে আসলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলার কারণে বিকাল তিনটায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
নিহত নয়নের চাচা এআর টিপু চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, রবিবার (২০ জুলাই) দুপুর বারোটায় মাদ্রাসা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি টার্নিং এ গিয়ে উল্টে গেলে আমার ভাতিজা আহত হয়। আমরা তাকে তৎক্ষণাৎ চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে আসি। দুপুর দেড়টায় হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগ থেকে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে ডাক্তার তাদের কর্তব্য শেষ করে দেন। নয়নকে নিওরোসার্জারি বিভাগের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হলেও কোনো ডাক্তার এসে তাকে দেখেনি। বরং তাদের ডাকতে যাওয়া হলে তারা উল্টো আমাদের ধমক দেন। ডাক্তার, নার্স সকলে আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। অবশেষে বিকাল পাঁচটায় নয়ন মারা যায়। দুপুর থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অনেকবার ডাক্তারকে ডাকতে যাই কিন্তু আফসোসের বিষয় একজন নার্স পর্যন্ত এলো না। তাদের অবহেলার কারণেই আমার ভাতিজা মারা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নয়নের পরিবার দাবি করেন ডাক্তারের অবহেলার কারনে নয়ন মারা যায়। যার কারণে তারা মেডিকেলে হট্টগোল সৃষ্টি করে পরে আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনি। ডাক্তারের গাফিলতি আছে কিনা আমরা অবগত নই। এ বিষয়ে পরিচালককে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ দায়ী থাকলে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহসেন উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘ডাক্তারের বিরূদ্ধে অভিযোগ করা এখন সবার অভ্যেস। রোগীপক্ষ আবেদন করলে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে কেউ দোষী থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এসএএস/এসএস