চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব বাবুল। এবার এই মনোনয়ন একটি বড় চমক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় ছিলেন বর্তমান মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বোর্ড এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পটিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার বিকেল চারটায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা শুরু হয়। স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী হলেন সাবেক ছাত্রনেতা মো. আইয়ুব বাবুল।
আইয়ুব বাবুল ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
রাতে নৌকার টিকেট হাতে পেয়ে মো. আইয়ুব বাবুল বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও জাহাঙ্গীর কবির নানক তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তারা আমাকে মূল্যায়ন করে নমিনেশন পাওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি অক্ষরে অক্ষরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পালন করব এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশকে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে সকলের মাঝে পৌঁছে দিব। পাশাপাশি আমার রাজনৈতিক শুভাকাঙ্ক্ষীরা ও কর্মীরা যারা আমার পাশে থেকে আমাকে অনুপ্রানিত করেছেন আমি আমার জীবন দিয়ে হলেও তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বাত্নক সহযোগিতা করে যাব ইনশাআল্লাহ।’
চতুর্থ ধাপের ৫৬টি পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন শতাধিক প্রার্থী। এদের মধ্য থেকেই বাছাই করা হয় নৌকার মনোনীত প্রার্থীদের।
চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে ১৯ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ জানুয়ারি। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ৫৬টি পৌরসভার মধ্যে ৩১টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ২৫টি পৌরসভায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিপি