চবি শিক্ষক সমিতির ভোট আজ, ৪ পদে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী নিজেরাই

অংশ নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াতপন্থীরা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে সকাল নয়টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলবে। নির্বাচনে ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদে প্রার্থী না থাকায় ৪টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে গতবারের মতো এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা। অন্যদিকে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল পুর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিলেও একাধিক পদে হলুদ দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কয়েকজন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে হলুদ দল থেকে ১১ টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়ন জমা দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ থেকে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। তবে সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দলের প্রার্থীদের বিপরীতে চার জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যারা সবাই নিজেদেরকে হলুদ দলের বলে দাবি করেছেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সোমবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। ১১ টি পদের মধ্যে ৭ টি পদে কোন প্রার্থী না থাকায় ৪ টি পদে ভোট হবে।

তিনি আরও বলেন, ১১ ও ১৩ জানুয়ারি অগ্রিম ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৮৬২ জন ভোটারের মধ্যে ১৭১ জন ভোটার অগ্রিম ভোট দিয়েছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী যারা
হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাে. হানিফ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি পদে ভূগােল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মাে. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘােষ, যুগ্ম সম্পাদক পদে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, ৬টি সদস্য পদে যথাক্রমে জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের ড. শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণী ভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী। এদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও ৬ জন সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া ৪টি পদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন— সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আখতার, সহ-সভাপতি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএএম জিয়াউল ইসলাম।

এ দিকে হলুদ দলের বিপরীতে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের প্রশাসনের সমর্থনপুষ্ঠ বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট ও হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির একাধিক সদস্য। প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজন বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন হলদ দলের একাধিক প্রার্থী।

তবে নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, আমরা তো এমনিতে ৭ পদে বিনাপ্রতিদন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছি। বাকি চার পদেও হলুদ দলের প্রার্থীরা বিজয় লাভ করবে। আমরা শতভাগ আশাবাদী।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!