চবি ভর্তি পরীক্ষার অনিয়ম তদন্তে কমিটি

পূর্বেই নিয়োগ পেলেন অভিযুক্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের সার্বিক ত্রুটি খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৭ থেকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা। চারটি ইউনিট ও দুটি উপ-ইউনিটে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে ‘ডি’ ইউনিটের এনসিটিবি ইংরেজি ভার্সনের ভর্তিচ্ছুদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন না ছাপানো ও মানোন্নয়ন শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। এরমধ্যে অনিয়মের নানা অভিযোগ ওঠে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসীর বিরুদ্ধে। তাকে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতাবলে আগামী এক বছরের জন্য স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট পদে নিয়োগও দেয়া হয়েছে । তদন্ত কমিটির তদন্তের পূর্বে তাকে নিয়োগ দেয়া নিয়েও সমালোচনায় পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ত্রুটি খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমেদ। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক ত্রুটি খতিয়ে দেখতেই এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ ও সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়াকে সদস্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। এতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নিচতলার ১০১, ১০২ ও ১০৩ নম্বর কক্ষ নির্ধারিত ছিল ন্যাশনাল ও ব্রিটিশ কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় ন্যাশনাল কারিকুলামে ইংরেজি মাধ্যমের ৪১৬ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। প্রথম শিফটে পরীক্ষা শুরু হলে তাদের (ন্যাশনাল কারিকুলাম) জন্য আলাদা প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়নি। ওই শিক্ষার্থীদের বাংলা অংশের প্রশ্নের উত্তর দেয়া আবশ্যিক হলেও, ব্রিটিশ কারিকুলামের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো প্রশ্ন দেওয়া হয়। যাতে বাংলা অংশটি ছিল না। এমন প্রশ্ন পেয়ে তিনটি কক্ষের শিক্ষার্থীরা আপত্তি জানালে, কক্ষগুলোতে দায়িত্বরত শিক্ষকরা ব্রিটিশ কারিকুলামের প্রশ্নের ‘স্পেশাল ইংলিশ’ অংশটির উত্তর করতে নির্দেশনা দেন । পরে শিক্ষার্থীরা সে নির্দেশনাই অনুসরণ করে। দ্বিতীয় শিফটের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, যা ছিল পরীক্ষার নিয়ম বহির্ভূত।

এইচটি/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!