চবি ছাত্রের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রমাণ পেল পুলিশ, অভিযোগপত্র দাখিল

চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছোট বোনের সামনে বড় বোনকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চের (আইইআর) শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের (২৫) সম্পৃক্ততার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার চার্জশিটও দাখিল করেছেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও খুলশী থানার এসআই দিপলু কুমার বড়ুয়া।

তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর জিইসি মোড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রীর সামনেই তার বড় বোনকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা দায়ের হয় খুলশী থানায়। এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানকে আসামি করা হয়।’

‘আমি মামলাটি ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নির্দেশনায় নিবিড়ভাবে তদন্ত করেছি। তদন্তে মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে’-বলেন দিপলু কুমার বড়ুয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটে আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।’

অভিযুক্ত মাহফুজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইইআর) ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের সাতঘড়িয়া পাড়ায় তার বাড়ি বলে জানা গেছে।

এর আগে ২৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীর বড় বোনকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনার ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে থাকা ছোট বোন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ওই ভিডিওতে অভিযুক্ত ছাত্র মাহফুজকে হাতেনাতে ধরার বিষয়টি ওঠে আসে। এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

চার্জশিট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একাধিক আইনজীবী বলেন, ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানির সংজ্ঞা ও এ অপরাধের সাজার বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে তার শরীরের যে কোনো অঙ্গ বা কোন বস্তু দ্বারা কোনো নারী বা শিশুর যৌন অঙ্গ বা অন্য কোন অঙ্গ স্পর্শ করেন বা কোন নারীর শ্লীলতাহানি করেন তাহলে তার এই কাজ হইবে যৌনপীড়ন। এ জন্য ওই ব্যক্তির অনধিক দশ বছর কিন্তু অন্যূন তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং এর বাইরে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত হবেন।

আরএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!