চবি ক্রিমিনোলজি বিভাগের নতুন সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে সভাপতি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আগামী তিন বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

বুধবার (১৮ মে) সকালে বিদায়ী সভাপতি ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খান তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।

সভাপতি হিসবে দায়িত্ব নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব পালন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জ ও রোমাঞ্চকরও বটে। চ্যালেঞ্জ এই কারণে যে শিক্ষা এবং গবেষণায় বিভাগে গতিশীলতা আনতে প্রচুর পরিশ্রম ও সতর্ক থাকতে হবে। ওয়ার্কশপ, সেমিনার, পাবলিক লেকচার আয়োজনের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে পরিকল্পিত কৌশলের বিকল্প নেই। রোমাঞ্চকর হওয়ার কারণ, বিভাগের অগ্রগতির স্বার্থে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করার জন্য নতুন নতুন অভিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’

সাখাওয়াত হোসেন ২০১৮ সালে এই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১২ সালে স্নাতক এবং ২০১৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে তিনি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে তাঁর প্রকাশিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষণা আর্টিকেলের সংখ্যা ১২টি। গবেষণার বিষয়বস্তু সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক অপরাধ, অপরাধ তদন্ত, পুলিশিং ও মানবাধিকার সম্পর্কিত।

প্রসঙ্গত, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি পদ নিয়ে নানা ধরনের জটিলতার তৈরি হয়। যা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এর মধ্যে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতি পদে রাখার অভিযোগ করেন বিভাগের তিন শিক্ষক। তাদের দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ওই বিভাগের শিক্ষকদের পাশ কাটিয়ে প্রশাসন অন্য বিভাগের শিক্ষককে সভাপতির পদে রেখেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিভাগের সভাপতি পদে দায়িত্ব নিতে ন্যূনতম সহকারী অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষক থাকতে হবে বলে জানা যায়।

এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিভাগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি নাজমুল ইসলাম খানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নাজমুল ইসলাম খান কোন আইনে এ পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেন হাইকোর্ট।

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!