চবি অফিসার সমিতির কর্মবিরতিতে সাময়িক বিরতি, দাবি পূরণে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির বৃহস্পতিবারের (১৫ অক্টোবর) অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসনের দাবি পূরণের আশ্বাসে তিনদফা দাবিতে ডাকা কর্মবিরতি স্থগিত করে তারা।

তবে শনিবারের (১৭ অক্টোবর) মধ্যে দাবি না মানলে রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে আবারো লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পর গ্রহণযোগ্য সমাধানের আশ্বাসে আগামী বৃহস্পতিবারের অর্ধদিবস কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে সমস্যা নিরসন না হলে ১৮ অক্টোবর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।’

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারবৃন্দ তৃতীয় দিনের মতো দুই ঘণ্টার কলমবিরতি পালন করেন। এই কর্মসূচি রোববার থেকে শুরু হয়েছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোব) দুপুরে চবি অফিসার সমিতির কার্যকরী পরিষদের এক জরুরী সভায় কলম ও কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১১ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কলমবিরতি। ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা কর্মবিরতি এবং সমিতি কার্যালয়ে অবস্থান। ১৮ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।

অফিসার সমিতির তিন দফা দাবিগুলো হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট বলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৪র্থ গ্রেড নির্ধারণের মাধ্যমে গ্রেডের সমতা আনয়ন করা।

প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সকল পদ হতে শিক্ষকদের প্রত্যাহার এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র অফিসারদের পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসারদের ‘ডিউ ডেইট’ সমস্যা নিরসন করতে পূর্বের ব্যবস্থা চালু করা।

এ বিষয়ে চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের এই দাবি নিয়ে আমরা ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। সর্বশেষ সমিতির আবেদনের আলোকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৫২৬ তম সিন্ডিকেটে সমতা নিরূপণের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের বেশীরভাগ এজেন্ডা পাশ হলেও অফিসারদের প্রাণের দাবীর বিষয়ে সিন্ডিকেট এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যা সমিতির আবেদনের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। অফিসার সমিতি সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে গ্রেডের সমতা আনয়নের বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনা শেষে এ বিষয়ে পজেটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে উপাচার্য মহোদয় সমিতি নেতৃবৃন্দকে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ধৈর্য ধারণের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ৭ অক্টোবরও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার’স ফেডারেশনের পরামর্শক্রমে উল্লেখিত দাবীসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’

এমআইটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!