চবি অফিসারদের লাগাতার কর্মবিরতি কাল থেকে, প্যান্ডেল তৈরিতে বাধা

দাবি পূরণের আশ্বাসের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন দাবি না মানায় রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে আবারো লাগাতার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা কর্মবিরতি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবি মেনে নেয় নাই। আমাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের জন্য আমাদের অফিসের সামনে প্যান্ডেল বানাচ্ছিলাম। প্রশাসন সেখানে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে তা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই কাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি চলবে।’

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসনের দাবি পূরণের আশ্বাসে বৃহস্পতিবারের (১৫ অক্টোবর) অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি স্থগিত করে চবি অফিসার সমিতি।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে চবি অফিসার সমিতির কার্যকরী পরিষদের এক জরুরি সভায় কলম ও কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১১ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কলমবিরতি। ১৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা কর্মবিরতি এবং সমিতি কার্যালয়ে অবস্থান। ১৮ অক্টোবর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।

অফিসার সমিতির তিন দফা দাবি হল— জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ১৯৭৩ সালের অ্যাক্ট বলে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের পদে ৪র্থ গ্রেড নির্ধারণের মাধ্যমে গ্রেডের সমতা আনয়ন করা। প্রশাসক পদ বাতিলসহ অফিসারদের সকল পদ হতে শিক্ষকদের প্রত্যাহার এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র অফিসারদের পদায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসারদের ‘ডিউ ডেইট’ সমস্যা নিরসন করতে পূর্বের ব্যবস্থা চালু করা।

এ বিষয়ে চবি অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদ হাসান নোমানী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের এই দাবি নিয়ে আমরা ২০১৬ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। সর্বশেষ সমিতির আবেদনের আলোকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ৫২৬ তম সিন্ডিকেটে সমতা নিরূপণের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু সিন্ডিকেটের বেশিরভাগ এজেন্ডা পাস হলেও অফিসারদের প্রাণের দাবির বিষয়ে সিন্ডিকেট এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যা সমিতির আবেদনের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’

তিনি বলেন, ‘অফিসার সমিতি সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্তের খবর পেয়ে আমরা উপাচার্য মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে গ্রেডের সমতা আনয়নের বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনা শেষে এ বিষয়ে পজেটিভ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে উপাচার্য মহোদয় সমিতি নেতৃবৃন্দকে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ধৈর্য ধারণের জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ৭ অক্টোবরও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার’স ফেডারেশনের পরামর্শক্রমে উল্লেখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!