চবি অধ্যাপকের বাসায় ভাড়াটিয়া ছাত্রীদের মালামাল চুরি, অধ্যাপক বললেন ‘বিড়ালের কাজ’

অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আগেও

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক অধ্যাপক আ ন ম আবদুল মুক্তাদিরের বাসায় ভাড়া থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে চুরির ঘটনাটি ‘বিড়ালের কাজ’ বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক মুক্তাদির। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ ক্যাম্পাসে ওই অধ্যাপকের বাসা।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অধ্যাপক মুক্তাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।

অধ্যাপক মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে এর আগেও ভাড়াটিয়াদের দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে আসা, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবিসহ একাধিক অভিযোগ আছে।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রী জানান, ‘করোনার ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর দরকারি জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য কুমিল্লা থেকে রোববার (১৮ অক্টোবর) ক্যাম্পাসে আসি। আমরা বাড়ি যাওয়ার সময় আমাদের বিছানা ও জিনিসপত্র সব গুছিয়ে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখি বাসার সব জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। বাসার সিলিং ফ্যান, মাল্টি প্লাগ, ছাতাসহ আরও অনেক ব্যবহারের জিনিস আমরা আসার পর খুঁজে পাচ্ছি না। এ নিয়ে আমরা তাৎক্ষণিক বাড়িওয়ালাকে জানালে উনি বললেন এসব বিড়ালের কাজ। অথচ বাসার দরজা জানালা সবকিছু বন্ধ ছিল। বিড়াল ঢোকার প্রশ্নই আসে না।’

অন্য ছাত্রীরাও অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বাড়ি থেকে এসে বাসায় ঢুকতে চাইলে বাসা মালিক মুক্তাদির বকেয়া উসুল করে প্রায় এক ঘন্টা পর বাসায় ঢুকতে দেয়। এ সময় ৪০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের নোটিশ তিনি মানেননি।’

এ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক আ ন ম আবদুল মুক্তাদিরকে ফোন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘ওনার বিরুদ্ধে এর আগেরও একাধিক অভিযোগ আছে। আমরা বিষয়টা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!