চবির সেই নির্মাণকাজ বন্ধ, ছাত্রলীগের ভয়ে শ্রমিকরা কাজে যেতে চাইছে না

এক সপ্তাহেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে শ্রমিকদের মারধরের পর বন্ধ করে দেওয়া সেই নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিরাপত্তা চাওয়ার পরও নিরাপত্তা না পাওয়ায় শ্রমিকরা ভয়ে কাজ করতে চাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন। অন্যদিকে ঘটনার এক সপ্তাহেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।

জানা যায়, গত ২৮ জুন রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের পিছনের লোহার গেইট ভেঙে অনুষদে প্রবেশ করে হামলাকারীরা। এসময় তারা নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যদের থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে কাজের জন্য রাখা ৪০০ সিমেন্টের বস্তা কেটে পানি ঢুকিয়ে নষ্ট করে। এছাড়া জেনারেটর মেশিনের বেল্ট কেটে ফেলে, মোটর খুলে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে, ইলেকট্রিক পাইপ খুলে ফেলে এবং রডের ওপর রং ঢেলে দেয়। পরদিন ভোরে ঢালাই কাজের শ্রমিকদের ও ঢালাই কাজের সরঞ্জাম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বাধা দেয় তারা। এছাড়া এর আগে আরও কয়েক দফা শ্রমিকদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ বললেও অভিযোগ আছে, ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপ চাঁদার জন্য এই হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সালামত উল্ল্যাঁ ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শ্রমিকদের ওপর হামলা, নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি নির্মাণকাজে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েছি। কিন্ত সাত দিনেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে নিরাপত্তার অভাবে শ্রমিকরা কাজ করতে চাচ্ছে না।’

এ বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাক। এরপর আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। আমি ওনাকে (অনুষদের ডিন) বলেছি কাজ শুরু করুন, আমি সাথে থাকবো। নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখতেছি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!