চবির পাহাড় থেকে নেমে এলো ১৪ ফুট লম্বা অজগর

জৈষ্ঠ্যের উত্তাপ চেতে উঠেছে। মাটিও ছড়াচ্ছে উত্তাপ। ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাস করছে মানুষ। গাছে ঝুলে থাকা পাহাড়ের অজগরেরও সহ্য হচ্ছে না এই গরম। তাই খাবার আর পানির খোঁজে জনপদে নেমে আসছে অজগর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পাহাড় থেকে নেমে আসা ১৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ১৫ কেজি ওজনের এমনি এক অজগরের সন্ধান মিলল। শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন একটি জলাশয় থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। সাপটির নাম বার্মিজ অজগর। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Burmese Python (Python bivittatus)।

প্রত্যক্ষদর্শী মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াছিন রিয়াদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, দুই থেকে তিন দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ পড়ে ফেরার সময় স্থানীয় বাসিন্দা নুরু মিয়া এই অজগরকে একটা হাঁস খেতে দেখেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে আর পায়নি। এরপর শনিবার নুরু মিয়া নিরাপত্তার কথা ভেবে কেন্দ্রীয় মসজিদের অপর পাশের একটি জলাশয় পরিস্কার করার জন্য শ্রমিক লাগিয়ে দেন। শ্রমিকরা কাজ শুরু করলে জলাশয়ে অজগরটিকে দেখতে পান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা দফতরের কর্মীদের সহায়তায় অজগরটিকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসের পিছনের পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদ আহসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে একটা সাপ পাওয়া গেছে শুনতে পেয়ে নিরাপত্তা দফতরের লোকজন পাঠিয়ে তা উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি। এটি পাইথন প্রজাতির সাপ। এই প্রজাতি আমাদের ক্যাম্পাসে আছে। পরে সাপটিকে প্রেসের পিছনের পাহাড়ে ছেড়ে দেয়া হয়।’

জনপদে নেমে আসার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই প্রজাতির সাপ জনপদে চলে আসার দুইটা কারন থাকতে পারে। প্রথমত, শীতের পর গরমে তারা খাবারের জন্য পানির কাছাকাছি থাকতে চায়। দ্বিতীয়ত, এসময় তাদের সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। তাই সঙ্গীর খোঁজেও নেমে আসতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরও মে মাসে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লুইসগেট এলাকা থেকে স্থানীয়রা একই প্রজাতির ও আকৃতির একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেন। পরে তাকে জীববিজ্ঞান অনুষদের পাশের পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়।

এমআইটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!