চবির জিরো পয়েন্ট যেভাবে ‘স্মরণ চত্বর’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) জিরো পয়েন্টের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘স্মরণ চত্বর’। মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর সন্তানদের স্মরণে এই নামকরণ করা হয়।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে অবস্থিত চত্বরটির নতুন নামকরণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ জন শিক্ষক, ১১ জন ছাত্র এবং ৩ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ সর্বমোট ১৫ জন শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের কর্মচারী শহীদ মোহাম্মদ হোসেনকে দেওয়া হয় বীরপ্রতীক খেতাব। মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতিকে ধরে রাখতে ও আত্মত্যাগ আর বীরত্বের স্মৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মরণ’। এই স্মৃতিস্তম্ভটির স্থপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ সাইফুল কবীর।

চবির জিরো পয়েন্ট যেভাবে ‘স্মরণ চত্বর’ 1

স্মৃতিস্তম্ভটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ছবি রয়েছে। তারা হলেন প্রকৌশল দপ্তরের চেইনম্যান বীর প্রতীক মোহাম্মদ হোসেন, চাকসুর জিএস আব্দুর রব, শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, ফরহাদ-উদ-দৌলা, নাজিম উদ্দিন খান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রভাষ কুমার বড়ুয়া এবং প্রহরী সৈয়দ আহমদ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়েছেন তাদের স্মৃতির স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্মৃতিস্তম্ভ ‘স্মরণ’ নির্মাণ করা হয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশের চত্ত্বরটি ‘জিরো’ বলে লোকেমুখে পরিচিত ছিল। মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই চত্ত্বরটির নাম স্মরণ চত্ত্বর রেখেছি। এছাড়া আলাওল হল চত্বরে অবস্থিত প্রথম শহীদ মিনার সংস্কার করে উদ্বোধন করা হয়েছে।’

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!