চবির অসমাপ্ত পরীক্ষা হচ্ছে অবশেষে, শুরুতে ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যাল

পরীক্ষার জন্য হল খোলা হবে না, থাকতে হবে নিজ দায়িত্বে

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন। অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত কমিটি গঠনের পর গ্রহণ করা হয়েছে প্রাথমিক কিছু সিদ্ধান্তও।

রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে— প্রথমে নেওয়া হবে অসমাপ্ত ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে মাস্টার্স ও চতুর্থ বর্ষেরসহ অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সভায় করোনার সংক্রমণের হার বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনায় রেখে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে বিভিন্ন বিভাগের অসমাপ্ত ভাইভা (মৌখিক পরীক্ষা) ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে মাস্টার্স, চতুর্থ বর্ষ ও অন্যান্য বর্ষের অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরীক্ষার চূড়ান্ত রুটিন দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. আতিকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অনেকগুলো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা ধাপে ধাপে অসমাপ্ত পরীক্ষাগুলো নেবো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে অসমাপ্ত ভাইভা ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরবর্তী মাস্টার্স ও চতুর্থ বর্ষসহ বাকিগুলো নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা সভার সিদ্ধান্তগুলো কাল পরশুর মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে পাঠাবো। পরবর্তীতে বিভাগীয় সভাপতি, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও অনুষদ অফিস সমন্বয় করে প্রক্টর অফিসের সাথে যোগাযোগ করবে। এরপর আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের সাথে আলোচনা করে রুটিন দেবো। আর বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা একসাথে হবে না। একদিন এক বিভাগের পরীক্ষা হবে।’

ড. আতিকুর রহমান বলেন, ‘সভায় উপস্থিত সবাই আবাসিক হল খোলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। যারা পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক, তারা নিজ দায়িত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করবে।’

এর আগে ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রতিদিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অসমাপ্ত পরীক্ষা নিয়ে ছেলে ভোলানা খেলা— পরীক্ষার উদ্যোগ নেই একসপ্তাহেও, শিক্ষার্থীরা হতাশ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানালেও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপাচার্যের নেতৃত্বে অসমাপ্ত পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে। এতে প্রক্টরকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া সকল ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ পরিদর্শক ও ছাত্র উপদেষ্টাকে সদস্য করা হয়েছে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!