চবির অপরাধবিজ্ঞানের সভাপতি কেন অবৈধ নন— জানতে চাইলেন হাইকোর্ট
ভিসি শিরীণসহ চারজনকে জবাব দিতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের দুই শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পরও সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকে সভাপতি পদে বহাল রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
গত বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এতে গত বছরের ২৪ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠানো আবেদনটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন করারও নির্দেশনা দেয়া হয়।
রোববার (১৩ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বিভাগের তিন শিক্ষকের একটি রিটের প্রেক্ষিতে গত ১০ মার্চ উচ্চ আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে শোকজ করে রুল জারি করেন। আমরা ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর রেজিস্ট্রার বরাবর বিভাগের সভাপতির দায়িত্বভার ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে অর্পণ প্রসঙ্গে একটি চিঠি দিয়েছিলাম। চিঠিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন মহামান্য আদালত।
তবে রুলের বিষয়টি এখনো অফিসিয়ালি আসেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো রুলের বিষয়টি অফিসিয়ালি আসেনি। আমাদের কাছে আসলে আমরা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট—১৯৭৩ অনুসারে কোনো বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য থেকে (অধ্যাপক না থাকলে) ন্যূনতম সহকারী অধ্যাপক পদে কোনো শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের ৩০ মে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের দুই শিক্ষক পদোন্নতি পেয়ে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার পরও গত ৯ মাস সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এবিএম নাজমুল ইসলাম খানকে এ বিভাগের সভাপতি পদে বহাল রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগের তিন স্থায়ী শিক্ষক উচ্চ আদলতে রিট করেন।
এমআইটি/সিপি