চবিতে ২৭৫ জনের ফলাফলে গোঁজামিল ধরা পড়েছে, গোণা হয়নি শেষ ডিজিটই

‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর ফলাফলে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে আইসিটি সেল। ভুক্তভোগী এই ২৭৫ জনের ফলাফল নতুনভাবে বিন্যাস করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কয়েকজনের ফলাফল ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত আগে বা পিছনে যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন এ ইউনিটের জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর ও ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা।

তিনি বলেন, ‘আমরা অসঙ্গতির কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখেছি ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটে উত্তীর্ণ হওয়া যশোর বোর্ডের ২৭৫ জন শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলের শেষ ডিজিট গণনা করা হয়নি। আমরা আপডেটেড ডাটা দিয়ে ভুক্তভোগী ২৭৫ জনের ফলাফল সংশোধন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এদের নম্বরের ব্যবধান দশমিক ১৮। এক্ষেত্রে কয়েকজনের ফলাফল ১০ থেকে ১৫ পর্যন্ত আগে বা পিছে যেতে পারে। তবে মূল ফলাফল তথা পাশ বা ফেলে কোন তারতম্য হবে না।’

ফলাফল কবে নাগাদ প্রকাশ করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের কাজ শেষ। এখন ‘সি’ ইউনিটের কাজ শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) রাতের মধ্যে সব প্রস্তুত হয়ে যাবে। আমাদের কোর কমিটির একটা মিটিং হবে। আমরা রোববারের মধ্যে ফলাফল দিতে পারবো। এর আগেও হতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সবগুলো ইউনিটের ফলাফল সংশোধন করা হচ্ছে। সবগুলো ইউনিটের ফলাফল আপডেটেড ডাটা দিয়ে মডিফাই করা হচ্ছে।’

এর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে বড় ধরনের অসঙ্গতির অভিযোগ ওঠে। এক শিক্ষার্থীর দেওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই অসঙ্গতির প্রমাণ মিলে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। পরবর্তীতে বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করে।

সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হয়৷ এর মধ্যে ১০০ নম্বর লিখিত ও ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জিপিএ থেকে নির্ধারণ করা হয়। জিপিএ থেকে প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ডাটা সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে টেলিটকের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল।

তবে এবার যশোর বোর্ডের জিপিএ নম্বরের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত জিপিএ এর তিন ডিজিটের শেষ ডিজিট গণণা করা হয়নি বলে এ ইউনিটের এক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করেছেন৷ পরবর্তীতে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে এ ও সি দুই ইউনিটে একই অসঙ্গতির প্রমাণ মিলেছে৷ তবে সংশ্লিষ্ট ইউনিট কো-অর্ডিনেটর ও জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটরদের দাবি, আইসিটির কারণে এমন ভুল হয়েছে। তাই এই ভুলের দায়িত্ব আইসিটিকেই নিতে হবে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!