চবিতে মানবন্ধন/ সায়েমের মৃত্যুতে চালকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি

সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম সায়েমের মৃত্যুর ঘটনায় গাড়িচালকের শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সায়েম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৩ মে নগরীর টেকনিক্যাল মোড়ে টিউশনিতে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। দুর্ঘটনার আটদিন পর ১ জুন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতোলের (চমেক) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েমের মৃত্যু হয়।

মানববন্ধন থেকে চালক এমজাত হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র সোহেল তাজ বলেন, সতর্কভাবে যদি চালক গাড়ি চালাত এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। ওইদিন যা ঘটছে এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং নীরব হত্যাকাণ্ড। প্রশাসনের কাছে এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এই হত্যার বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রশাসনের কাছে এই হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।সাদেকে মৃত্যু এটি সকলের কাছে বেদনাদায়ক।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যপক ড. শওকত আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের দেশে বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করতে হবে। বিচারের আড়ালে যেন সাদেকুলের হত্যাকারীরা পার পেয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, হত্যাকারী গাড়িচালকের জামিন আমাদের জন্য লজ্জার ও দুঃখের। এরকম হলে আমাদের সবার জীবন বিপন্ন হবে।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. জামিল হোসাইনের সঞ্চালনায় সংহতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান, অধ্যাপক ড. শওকত আরা বেগম, অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা হাসনাত। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশ নেন একশর বেশি শিক্ষার্থী।

এইচটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!