চবির সিএফসি ও বিজয় গ্রুপে মারামারি, এবার আহত ৫

সিক্সটি নাইন গ্রুপের ৩ কর্মীর ওপর হামলার রেশ না কাটতেই এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে সিএফসি গ্রুপ ও বিজয় গ্রুপ। এতে দু’পক্ষের ৫ কর্মী আহত হয়েছে। দুই গ্রুপই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে সিএফসি গ্রুপের এক কর্মীকে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

আহতরা হলেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের আবু বক্কর সিদ্দিক, আইন বিভাগের অপূর্ব, গণিত বিভাগের রাপন। তিনজনই প্রথম বর্ষের ছাত্র। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শামীম আজাদ ও আশিস।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ও এফ রহমান হলে সিএফসি গ্রুপের দুই কর্মীকে মারধর করে বিজয় গ্রুপের কর্মীরা। পরে সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহারওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহারওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিএফসি গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান করে।

এ ঘটনার জেরে ক্যাম্পাসে লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিজয় গ্রুপ। বিজয় গ্রুপের দাবি, হামলকারীদের নির্দেশদাতা সভাপতি রুবেলকে গ্রেপ্তার এবং সাংগঠনিক পদ থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রশাসনকে আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি- যারা আগে মেরেছে আর যারা পরে মেরেছে সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এদের যদি এভাবে ছাড় দেওয়া হয় তাহলে সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে।’

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিজয় পক্ষের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘প্রশাসনের সামনে রেজাউল হক রুবেলের নির্দেশে জামায়াতি স্টাইলে রগ কাটায় জড়িতদের রাত ৯টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আজ রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার অবরোধ চলবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!