‘চবিতে প্রভাতফেরির সংস্কৃতি ধ্বংস করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন’

দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সম্প্রতি একুশের ভোরের প্রভাতফেরি সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আর এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই দায়ী করেছে সংগঠনটি।

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি গৌরচাঁদ ঠাকুর এবং সাধারণ সম্পাদক আশরাফী নিতু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।

বিবৃতেতে নেতৃবৃন্দ বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এইদিন ভোরে প্রভাতফেরির মাধ্যমে শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে এই ভূখন্ডের সর্বস্তরের জনতা বিশেষত ছাত্র সমাজ। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি একুশের ভোরের প্রভাতফেরি সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে এবং সেটি প্রশাসনের হাত ধরেই।

তারা বলেন, গত বছর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারির শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন বেলা ১০টায়। শুধু তাই নয়, এর আগে প্রভাতফেরি শেষ করে আসা বিভিন্ন সংগঠনের কাউকেই শহীদবেদীতে ফুল দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে আবহমানকাল ধরে চলে আসা ‘প্রভাতফেরি’ শব্দটি তার যথার্থতা হারাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এই নব্য আমলাতান্ত্রিক চর্চার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অন্য কোনো জাতীয় দিবসে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিলম্বের জন্য ছাত্র সংগঠন বা অন্যান্য সংগঠনকে যেনো দেরিতে ফুল দিতে বাধ্য করা না হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত বিজয় দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভুল ব্যানার নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। ভবিষ্যতে জাতীয় দিবসের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এধরনের গাফেলতি ও জোরপূর্বক বিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মেনে নেবে না।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!