চবিতে পদ নেই, তবু তিন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে কাল— অডিও কেলেঙ্কারির পর আরেক কাণ্ড

এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ইউজিসির অনুমোদিত পদ না থাকার পরও তিনজন অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে। কোনো পদ খালি না থাকার পরও এ বিভাগে নতুন করে তিনজন শিক্ষক নিয়োগকে অনিয়ম বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে অনুমোদিত পদেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন প্রভাষক শিক্ষা ছুটির বিপরীতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ২০১৯ সালের ৫ মে। এই শিক্ষককে স্থায়ী করার জন্য গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটির সভা হয়। সেখানে ওই শিক্ষককে স্থায়ী করতে একটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এই চিঠির প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর এ বিভাগের একটি প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী সভা হয়। এ সভায় ওই প্রভাষককে স্থায়ী করার পাশাপাশি নতুন আরও তিনজনকে প্রভাষক পদে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। অথচ এই বিভাগে ইউজিসি অনুমোদিত শিক্ষক পদ রয়েছে ১৫টি। বিভাগটিতে বর্তমানে ১৫ শিক্ষকই সক্রিয়ভাবে কর্মরত রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই। এটা অনিয়ম।

অননুমোদিত পদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজ বেগম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ইউজিসির বাজেট আনুমোদন ব্যতীত কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই। অনুমোদনবিহীন কোন পদের বেতন ইউজিসি দেবে না।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভারপ্রাপ্ত প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমি জানি অনুমোদিত পদ ছাড়া শিক্ষক নেবে না। ওনারা নিয়েছেন (বোর্ড) ডেফিনেটলি পদ আছে। যদি নিয়ে থাকে নিশ্চিতভাবে পদ আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সুজিত কুমার দত্ত।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!