চবিতে শতরকমের পিঠা উৎসব

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করার লক্ষ্যে এবং বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোট’ গত বছরের ন্যায় এবারও আয়োজন করেছে শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পাশে দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

উৎসবে অংশ নেয় চবি সাংস্কৃতিক জোটের পাঁচ সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ, অঙ্গন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রথম আলো বন্ধুসভা এবং উত্তরায়ণ সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ। তারা আলাদা আলাদা স্টলে হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজায়।

উৎসবে নিয়ে আসা পিঠার মধ্যে রয়েছে- পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, নকশী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামদানি, সূর্যমুখী, গোলাপি, দুধপুলি, রসপুলি, দুধরাজ, সন্দেশ, আন্দশা, মালপোয়া, পাজোয়াসহ সুন্দর সুন্দর নাম আর ভিন্ন স্বাদের একশত পদের পিঠা।

পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়।

অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত। এ সমস্ত নান্দনিক আয়োজন পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। গ্রাম বাংলার নানা বৈচিত্রের পিঠা সম্পর্কে শহুরে জীবনে তেমন সাড়া না জাগালেও গ্রামাঞ্চলে এখনো এর প্রচলন সমধিক। এখানে অনেক পিঠা দেখতে পেলাম, যেগুলো আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও চবি আবৃত্তি মঞ্চের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ আরিফ বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে লোকজ সংস্কৃতির আয়োজন খুব একটা হচ্ছে না বললেই চলে। সেই জায়গা থেকে চবি সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বিগত তিন বছর ধরে আমরা এই পিঠা উৎসব করে আসছি। সত্যি কথা বলতে গেলে, এই আয়োজন করে আমাদের অর্থনৈতিক লাভ তো দূরের কথা বরং আরও ভর্তুকি দিতে হয়। আশাকরি সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ফান্ডিং পাবো। সেটা পেলে আরো বড় পরিসরে করতে পারবো।

এদিকে এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজনে যেমন ছিলো দর্শনার্থীদের জন্য আনন্দময় তেমনি আয়োজকদেরও উৎফুল্লতা। সকাল থেকে দল বেধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পিঠা উৎসবে যোগ দেয়। পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি পরিচিত হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে। দিনব্যাপী এই আয়োজনের বিকেলে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!