চন্দনাইশ পুলিশের কাণ্ড/ নামের মিলে বিনাদোষে কারাবাস যুবকের

দুজনের উপজেলা এক হলেও ইউনিয়ন ভিন্ন। নামের উচ্চারণে মিল থাকলেও বানানে রয়েছে ভিন্নতা। বয়সের পার্থক্যও ১৮ বছরের। তবে পিতার নাম এক হলেও মায়ের নামেও তফাৎ। এরপরও পুলিশের দায়িত্বহীন ভুলে একটি হত্যামামলার আসামি হিসেবে বিনা দোষে আট দিন কারাবাস করতে হয়েছে চন্দনাইশের এক যুবকের।

এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানা পুলিশ। তবে আইনি লড়াইয়ে আট দিন বিনাদোষে কারাভোগ শেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন নাসির নামে ৩৫ বছর বয়সী ওই যুবক।

তবে এই ধরনের ভুলকে ‘সরল বিশ্বাসের ভুল’ বলে পার পেতে চাইলেও আদালত বলছেন, চৌকিদার, ওয়ারেন্ট তামিলকারী এএসআই আকবর হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে আদালতকে জানাতে। ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক খন্দকারের আদালত এ সংক্রান্ত একটি রায়ের শুনানির পর বুধবার (২১ আগস্ট) এসব এ নির্দেশনা প্রকাশ পায়।

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ওসমান গণি খোকন জানান, ২০১৪ সালে চন্দনাইশের মোজাফর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রভূক্ত পলাতক আসামি নাছির উদ্দিন। তিনি উপজেলার মুরাদাবাদের ইসহাকের পুত্র। তার মায়ের নাম লায়লা বেগম। বয়স ৫৩ বছর। অন্যদিকে একই উপজেলার হলেও পুলিশের ভুলে গ্রেপ্তার হয়ে আট দিন কারাবাস করেছেন মোহাম্মদ নাসির। তার বয়সও মাত্র ৩৫ বছর। ইউনিয়ন পূর্ব কাঞ্চনাবাদ। পিতার নাম ইসহাক হলেও মায়ের নাম খোরশেদা বেগম।

তবে গত ১ আগস্ট মোজাফফর হত্যাকাণ্ডের আসামি নাছির উদ্দিন ভেবে শুধুমাত্র নামের মিলের কারণে অন্য ইউনিয়নের আরেক নাসিরকে গ্রেপ্তার করেন চন্দনাইশ থানার এএসআই আলী হোসেন। এ ঘটনার যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে গত ৮ আগস্ট আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হলে আদালত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন৤ পাশাপাশি নিরীহ নাসিরকে জামিনে মুক্তির আদেশও দেওয়া হয়।

এ আদেশের পর চন্দনাইশ থানা পুলিশ তদন্ত করে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে মর্মে আদালতকে জানায়। একই সঙ্গে বিনা দোষে কারাভোগকারী নাসিরকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দিতেও আবেদন করে। আদালত নাসিরকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি চৌকিদার, ওয়ারেন্ট তামিলকারী এএসআই আকবর হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!