সার্কিট হাউজের সামনে থেকে নবজাতক কন্যা মনীষাকে ব্যাগবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। ওই নবজাতক কন্যা মনীষা কীভাবে সেখানে পৌঁছালো সেটা প্রশ্নের সুরাহা হয়নি এখনো। তবে সিসিটিভি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে নবজাতকের মা হ্যাপীসহ আরো ৩জন বের হয়েছিলেন ওইদিন। প্রতিবেশিরা ধারণা করছেন এটি কোন আপনজনের মাধ্যমেই হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের চট্টেশ্বরী রোডে মনিরুজ্জামানের ৪তলা বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হ্যাপি ও মানিক চক্রবর্তী দম্পতি। মানিক চক্রবর্তী পেশায় শিক্ষক। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বাসা থেকে তাদের ৪০ দিনের শিশু মনীষাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের হটলাইন ৯৯৯-এ ফোন করলে নবজাতকের খোঁজে নামে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
অন্যদিকে, বিকেল ৩ টায় সার্কিট হাউজের পাশে দেয়ালের পাশে ব্যাগের ভেতর শিশুটিকে দেখে লোকজনের ভীড় জমে যায়। পরে পথশিশুরা এসে এস আই হামিদুল ইসলামকে খবর দিলে তিনি এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে শিশুটিকে চমেকের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ভর্তি করানো হয়।
এদিকে শিশু মনীষার বাসার সামনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শিশুটির মা হ্যাপী হাতে ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন। পনের মিনিট পর তিনি আবার বাসায় ফিরে আসেন। তখন হ্যাপির শাশুড়ি বাসায় ছিলেন। এর আধ ঘণ্টায় অন্য বাসার একজন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যেতে দেখা যায় এবং এরপর বাসার পরিচিকা দোকানে গিয়ে ফেরত আসেনও দ্রুত। অন্য কোন দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে নেই। এতো কম সময়ের মধ্যে শিশুটি চুরি হওয়ার পেছনে পরিচিতজনদের হাত রয়েছে ধারণা করছেন অনেকে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন বলেন, শিশুটির অভিবাবক ৯৯৯ ফোন করে অভিযোগ করলে আমরা শিশুটির খোঁজে নামি। সার্কিট হাউজের পাশে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে চকবাজার থানায় হস্তান্তর করি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, কোতোয়ালী থানা পুলিশ উদ্ধার করে শিশুটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা শিশুটি অভিভাবকের হাতে হস্তান্তর করি। শিশুটি কিভাবে চুরি হল তা তদন্ত করার আগে বলা যাচ্ছে না।
সিএম/এসএস