চট্টলবীর খ্যাত মহিউদ্দিন চৌধুরীকে হারানোর দিন আজ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৫ ডিসেম্বর)। দীর্ঘদিন কিডনিসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভোগার পর ২০১৭ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জন্ম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। ষাটের দশকে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ছাত্র থাকাকালীন যুক্ত হন তিনি ছাত্রলীগের সাথে। এরপর একে একে যুবলীগ, শ্রমিক রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের অবিসংবাদিত নেতাতে পরিনত হন তিনি।

তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। সেসময় তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন। শেষপর্যন্ত সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধের পর শ্রমিক রাজনীতির সাথে যুক্ত হন আবুল বাশার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও।

১৯৭৫ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল অনন্য।

বিভিন্ন দূর্যোগ-দূর্বিপাকে বিপদগ্রস্ত মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে যেতেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। চট্টগ্রামের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে ‘এক চুলও’ ছাড় না দেওয়ার মানসিকতা তাকে পৌঁছে দিয়েছিল জনপ্রিয়তার শিখরে।

১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর তিন মেয়াদে এক টানা ১৭ বছর চসিকের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সরকারের উপর নির্ভর করে না থেকে নিজস্ব আয় দিয়ে চসিক পরিচালনা করে স্থানীয় সরকার পর্যায়ে উদাহরণ তৈরি করেছিলেন। চসিকের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে তিনি অভূতপূর্ব সাফল্য দেখাতে পেরেছিলেন।

আমৃত্যু চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী কেন্দ্রীয় রাজনীতির হাতছানিকে বারবারই স্পষ্ট ভাবে না বলেছেন চট্টগ্রাম থেকে দূরে সরতে চাননা বলে।

এআরটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!