চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে অব্যাহত দরপতন, বিনিয়োগকারীদের অনশন

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে সভা ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন চট্টগ্রামের বিনিয়োগকারীরা। ইনভেস্টরস ফোরাম অফ চট্টগ্রামের ব্যানারে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।

সংগঠনের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রানা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী।

প্রতিবাদ সভায় নির্বাচন পরবর্তী পুঁজিবাজারে ইতিবাচক অগ্রগতির সময় হঠাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পুঁজিবাজার নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা। এই ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন তারা।

বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নেওয়া ডে নেটিং ও স্ক্রিপ নেটিং চালু করার প্রতিবাদ করে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন বিনিয়োগকারীরা।

বিনিয়োগকারীরা বলেন, ‘অতীতে ডে নেটিং ও স্ক্রিপ নেটিংয়ের কারণে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী সর্বস্বান্ত হয়েছিল। আর বর্তমান কমিশন ব্রোকার হাজের স্বার্থে বিনিয়োগকারীদের পথে বসানোর জন্য ডে নেটিং ও স্ক্রিপ নেটিং চালুর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

সভায় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের স্বার্থে নিম্নমানের আইপিও বন্ধ রাখা, প্লেসমেন্ট বাণিজ্য বন্ধ, আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা, পুঁজিবাজার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক মনোভাব, যোগ্য লোকদের সমন্বয়ে বিএসইসি পুনর্গঠন, পরিচালকদের ব্যক্তিগতভাবে দুই শতাংশ, সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন, তারল্য সংকট মোকাবেলায় আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ফান্ড প্রদান করাসহ শেয়ার বাজারের জন্য কল্যাণমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবি জানান।

সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক খোরশেদুল আলম মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ কাদের, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মো. শামসুল আলম, শিরিন আক্তার, সুলতান আহমদ, কবির আহমদ চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী পাভেল, হিরালাল প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!